উলিপুরে আ.লীগের দোসর জয়নাল আবেদীনের প্রতারণা ও জমি জবরদখলের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:লাতিফুল নয়ন ফারাজী
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বামনাছড়া এলাকায় জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দোসর প্রভাবশালী নেতা মো. জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুরভী বেগম ২৫শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১:০০ টায় উলিপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুরভী বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী অসুস্থ অবস্থায় নিজের মালিকানাধীন প্রায় ৭৫ শতক জমি তার নামে লিখে দেন।পাশাপাশি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আরও ৪৫ শতাংশ জমিও তার নামে দলিল করে দেন।
পরবর্তীতে পারিবারিক সমঝোতার মাধ্যমে তিনি ওই জমি তার বড় ননদ চামেলি বেগমের স্বামী মো. জয়নাল আবেদীনের কাছে ৫০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন।
চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও বাকি টাকা আর পরিশোধ করেননি জয়নাল আবেদীন।
বরং সময়ক্ষেপণ করে আরও জমি লিখে দিলে পুরো টাকা পরিশোধ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে টাকা না দেওয়ার নানা রকম টালবাহানা শুরু করেন।
যা আজ অব্দি পুরা টাকা দেননি।
ভুক্তভোগীর প্রদত্ত নথি অনুসারে জমি দাবি করেন
দলিল নং: ৫৭৪১দলিল তারিখ: ২৯/০৮/২০১৯ ইং
আর.এস দাগ নং–৩১৬৩,৩০৬১,৩০৮৮,২০৭০
সব মিলিয়ে ভুক্তভোগীর নামে দলিলভুক্ত জমির পরিমাণ প্রায় ৭৫ শতক।
সুরভী বেগম জানান, জয়নাল আবেদীন অতীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং রংপুরের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (PGCB)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।।
সেই পরিচয় ব্যবহার করে তিনি স্থানীয়ভাবে অনেক প্রভাব খাটাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, জমি দখল প্রক্রিয়ায় জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছেন আ. হাই, আবু মিয়া, লাল মিয়া, রাজু, মোছা. চামেলি বেগম ও শেপালি বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে সুরভী বেগম বলেন,আমার স্বামী জমি আমার নামে লিখে দিয়েছিলেন।আমি সেই জমি বিক্রি করেছি, কিন্তু পুরো টাকা এখনও পাইনি।
এখন উল্টো আমার বড় ননদ চামেলি বেগমের স্বামী জয়নাল আবেদীন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমার জমি জবরদখল করতে চাইছে।
এ বিষয়ে তিনি উলিপুর থানায় অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাননি।
স্থানীয়রা জানান,
জমিটি সুরভী বেগমের নামে দলিলভুক্ত। তবুও রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে দখলের চেষ্টা চলছে।এতে এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় সচেতন মহলও বলছে, ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি, নইলে এ ধরনের দখলবাজি আরও বৃদ্ধি পাবে।