1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
উলিপুরে আ.লীগের দোসর জয়নাল আবেদীনের প্রতারণা ও জমি জবরদখলের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড। ‎মেহেরপুর পৌর এলাকায় জেলা জামায়াতের আমির তাজউদ্দীন খানের গণসংযোগ ফুলবাড়িয়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ গেল সিদ্দিকুর রহমানের রৌমারীতে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও গণ সংযোগ করলেন মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু পঞ্চগড়ে পুত্রবধুকে মারপিট করায় জেল হাজতে শশুর-শাশুড়ি তরুণ শাওনের উদ্যোগে সাইবার নিরাপত্তায় স্বস্তি ফিরছে ব্যবহারকারীদের…. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে পথ সভা”। নাগরপুর কাশাদহ মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ ২০২৫ চিরিরবন্দরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন আহত

ভালো থাকতে পরিবর্তন করুন নিজেকে

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

ভালো থাকতে পরিবর্তন করুন নিজেকে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি,গাইবান্ধা।
মোঃ বেলাল মিয়া

প্রতিদিন ভালো থাকতে পরিবর্তন করুন নিজেকে
বেশির ভাগ মানুষই নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তারা সবাই ভাবে তাদের জীবনটা আরও বেশি সুন্দর হতে পারতো কিন্তু এ জন্য তারা কিছুই করেনা আপনি যদি আপনার জীবনটাকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনার জীবন যাফনের প্রতিটা স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে।প্রথমেই পুরনো বদ অভ্যাসগুলোকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে।
আর নতুন নতুন ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ ভালো অভ্যাসগুলোই আপনার জীবন বদলে দেবে।
আমাদের জীবন আসলে খুবই ছোট আর এজন্যই এতোটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন এ ছোট্ট জীবনে সবাই চায় সুখী হতে একটি জীবন কাটাতে কিন্তু সবাই তা করতে পারে না।
কেন করতে পারে না সেটা নিয়ে আজ আমরা কথা তেমন বলবো না, আমরা আজ জানবো কিভাবে খুব ছোট ছোট কিছু কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব।
এমন কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো আপনি আয়ত্ব করলে অতি সহজেই একটি সুন্দর জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা তেমন কিছু অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক-
* নিজের যত্ন নিন। ভালো পোশাক পড়ুন। সকালে উঠে একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে সাজ-পোশাকে তৈরি হলে দেখবেন সারাদিন আপনার মন ভালো থাকবে। সঙ্গে পছন্দের পারফিউম ব্যবহার করুন।
* জানেন তো, হাসিমুখে সবার সঙ্গে কথা বলতে কষ্ট তো হয়ই না, বরং আমাদের দেখতে আরও সুন্দর ও আকষর্ণীয় লাগে। সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন। সবাই আপনাকে পছন্দ করবে, আপন করে নেবে আর এ অনুভূতি আপনাকেও ভালো রাখবে।
* সমালোচনা নয়, প্রশংসা করুন। কেউ একটা নতুন কাপড় পরেছে, অথবা কোনো কাজ করে খুব আগ্রহ নিয়ে আপনার মতামত জানতে চেয়েছে। এ সময় নিশ্চয় তারা প্রশংসাই আশা করবেন। আপনার প্রশংসাই হয়তো তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে।
* কেউ কিছু বলতে চাইলে মন দিয়ে শুনুন। আপনি একজন ভালো শ্রোতা যেমন হবেন আবার তার কথা থেকে হয়তো অনেক কিছু শিখতেও পারবেন।
* ধন্যবাদ জানান, ঘর থেকে শুরু করুন। যখন বের হচ্ছেন, কেউ আপনাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছেন, প্রথমে তাকেই ধন্যবাদ দিন। সকালের নাস্তাটা আজ ভালো ছিল? যিনি তৈরি করেছেন তার তো একটা ধন্যবাদ প্রাপ্যই। এরপর ড্রাইভার, বাড়ির বা অফিসের দারোয়ান, দোকানদার কিংবা অফিসের সহকর্মী ছোট কোনো কাজেও যে সাহায্য করছে তাকেই ধন্যবাদ দিন। দেখুন দিনটাই সুন্দর হয়ে যাবে।
* একেবারেই ব্যায়াম করা হয় না। অন্তত রাতে কিছুটা সময় গান শুনতে শুনতে হাঁটুন।
* দিন সবার জন্যই সমান সময় নিয়েই আসে, একে সুন্দর করা ও নিজে ভালো থাকা অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের ইচ্ছা এবং কাজের ওপর। এটাও মানতে হবে, সব পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তবে যেটুকু থাকে, এতটুকু ভালো থাকার আন্তরিক চেষ্টা করুন আজ থেকেই।শপিং কি করবো না করবো, জীবনের লক্ষ্য, কাজ- এমন অনেক কিছু ভাবতে ভাবতেই হয়তো এমন কিছু চলে আসে যা জীবনটাকেই পরিবর্তন করে দিতে পারে।
তবে জীবনের সন্তুষ্টির জন্য আগে অবশ্যই দেখতে হবে নিজের আইডিয়া ও কাজের পরিকল্পনা ।
যখন আপনি নিজের কোনো দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করবেন এবং সেখানে একটির পর আরেকটি দেখুন ভালোভাবে। হয়তো নীচের এ বিষয়গুলো সেখানে আছে।
প্রথমে ভালোভাবে চিন্তা করুন
নিজের করণীয় সম্পর্কে তালিকা করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে কি করা উচিত আর কি করা উচিত না।
সব লিখে তারপর দেখুন কোনটিকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। চিন্তাগুলোকে একটি কাঠামোতে সাজিয়ে ফেলুন। দেখুন কোন সময়ে কোনটি করলে ভালো ফল আসবে। এভাবে ভেবে চিন্তে এগুতে থাকুন এবং তালিকাটি করেই ফেলুন।ভালো রাখার জন্য।
একজীবনে অনেক বছর বেঁচে থেকেও নিজেকে চেনা হয়ে ওঠে না। খুব কর্ম সংখ্যক মানুষই প্রকৃত অর্থে নিজেকে চিনতে পারে। এর একমাত্র কারণ নিজেকে সময় না দেয়া। নিজেকে সময় না দিলে, কিভাবে বুঝবেন আপনার কি চাই, আপনি কেমন ধরনের মানুষ কিংবা আপনার ভেতর মুখোশের আড়ালে অন্য কোনো রূপ লুকিয়ে আছে কিনা!
নিজেকে না চিনে, না জেনেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে; ভাবতেই খুব আফসোস হচ্ছে না। মানব জনম কি আর বারবার আসে। এই এক জীবনে যদি নিজেকে চিনতে না পারেন, আর কোনোদিন চেনার সুযোগ হবে না। এই আফসোসটা যাতে কোনোদিন না হয়, সেজন্য অনেক ব্যস্ততার ভিড়েও নিজের জন্য খুব যতে নিয়মিত একটু সময় বের করুন। দেখবেন বেঁচে থাকা মানেই সংগ্রাম নয়, ভালো থাকাও বেঁচে থাকার একটা অনেক বড় অংশ। আবার বয়স বেড়ে যাচ্ছে বলে ভালো থাকবো না, এটাও কোনো কথা হতে পারে না। বেঁচে থাকলে ভালোও থাকতে হয়। আমি বলি, বেঁচে থাকার অপর নামটাও হলো ভালো থাকাও।
তাই তো বলছি, বয়স যতই হোক, নিজেকে ভালোবাসুন, নিজেকে সময় দিন, সুস্থ সুন্দর জীবনযাপন করুন; অন্তত এই যান্ত্রিকতার যুগে নিজেকে ভালো রাখতে চাইলে, নিজেকে সময় দেয়া খুব প্রয়োজন।কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শরীরটাই আপনার বেঁচে থাকার একমাত্র উৎস। নাহ্, ভাবেননি। এত ব্যস্ততার ভেতর, নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় কই? তাই তো। কিন্তু একদিন এই শরীরটাই যখন আপনাকে মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে, তখন আর সচেতন হবার সময় থাকবে না। একটি গবেষণাপত্র পড়ে জানলাম, যারা হার্টঅ্যাট্যাক কিংবা ব্রেইন স্ট্রোকে মারা যায়, তাদের বেশির ভাগ মৃত্যুর কারন অতিরিক্ত ব্যস্ততা আর মানসিক চাপ। যার ফলে, মানুষ যে কোনো সময় যে কোনো বয়সে মারা যেতে পারে।
বিগত কয়েক বছরে এভাবে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ছিল তুলনামূলক কম, কেবলমাত্র তারা ব্যস্ততা আর মানসিক চাপের শিকার হয়েছেন, যার পরিণতি অকাল মৃত্যু! ঠিক সময়ে সচেতনতার অভাবে শরীরের আরো অনেক ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে।
মানসিকভাবেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ব্যস্ততার কারনে। চাপ সামলাতে না পেরে অনেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে, স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। ব্যস্ততায় সময় কাটাতে কাটাতে জীবন একঘেয়ে হয়ে পড়ে, বৈচিত্রহীন মনে হয় সবকিছু। মাঝেমাঝে মনে হয়, পৃথিবীর সবাই সুখী আমি ছাড়া। আর ব্যস্ততা এমন একটা জাল, যেখানে একবার আটকা পড়লে, সে জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন।
সবাই একবার নিজেকে নিয়ে ভাবুন, নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করুন। সপ্তাহে অন্তত একটা দিন বা একটা সকাল অথবা একটা বিকেল নিজেকে আলাদা করে সময় দিন, যে সময়টুকুতে কোনো চিন্তাভাবনা থাকবে না।
আর্থিক চিন্তা থাকবে না, ক্যারিয়ারের চিন্তা থাকবে না, লাভ লোকসানের চিন্তা থাকবে না; একদম মুক্ত মনে ঘুরে বেড়ান সেই সময়টুকু। জীবনে টিকে থাকতে গেলে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়। যদিও একটি প্রবাদ আছে ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।’ কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, সেই ‘ভাবনা-চিন্তা’ আপনার সুখ স্বাচ্ছন্দ্য যেনো গ্রাস না করে, নির্ঘুম রাতের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। সেই ভাবনাকে পোষবেন না, ত্যাগ করবেন?
আমি বলি, মনোজগতে আলাদা একটা জানালা তৈরি করুন। যে জানালা দিয়ে সমস্ত ভাবনা-চিন্তাগুলোকে দখিন হাওয়ার মতো বের করে দিতে পারবেন। তাহলে দেখবেন, কতটা স্বস্তির জীবন নিয়ে বাঁচা যায়।
নিজেকে সময় দেয়ার এবং নিজেকে শারিরীক ও মানসিকভাবে ভালো রাখার অন্যতম একটা উপায় হচ্ছে, নিজের যা ভালো লাগবে তা করা। যেমন, কারো ঘুরতে ভালো লাগে। সে মাঝে মাঝে ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে ঘুরে আসতে পারে দূরে কোথাও, যেতে পারে প্রকৃতির খুব কাছাকাছি। কারো হয়তো ঘরে একান্তে সময় কাটাতে ভালো লাগে। অথচ সেই সময়টুকু বের করা যায় না। আপনাকে অবশ্যই নিজের জন্য সময় বের করে নিতে হবে।
নিজেকে সময় দিলে শরীরের প্রতি কোষে আনন্দ আর ভালোলাগার অনুসরন হবে, যা অনেক বেশি জীবনীশক্তি সঞ্চয়ে সহায়ক। আর এই জীবনীশক্তিকে পুঁজি করেই নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়া যায়, বোনাস হিসেবে পাওয়া যায় ভালো থাকার আরো অনেকগুলো দিন।
কেউ কেউ মুভি দেখতে ভালোবাসে, ছবি আঁকতে ভালোবাসে, একা একা গ্রামের মেঠোপথ ধরে হাঁটতে ভালোবাসে। প্রত্যেকের ভালো লাগার ওপর কেন্দ্র করে নিজেকে কিছুটা অবসর সময় দেয়া উচিত।
খুব গভীরভাবে ভেবে দেখা উচিত, আমার আসলে কী চাই, কেন চাই, কী পেলে আমার আত্মতৃপ্তিবোধ করবো। আরো খেয়াল রাখতে হবে, আমার চাওয়া গুলো অন্য কারো ক্ষতির কারন হবে না তো।এভাবে নিজের বোধ জাগ্রত করে, নিজের চাওয়াগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে হবে, অন্তত নিজের জীবনকে।
আপনি যাই করবেন তাতে একটি মানসিক সন্তুষ্টি থাকবে আপনার। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন আমরা একই সময়ে আমাদের মাথায় চারটি বিষয়কে রাখতে পারি।
১/সচেতন ভাবে মনোযোগ দেওয়া:
একসঙ্গে চারটি তথ্য মাথায় রাখার জন্য আপনাকে মনোযোগ ও মনোযোগী হতে হবে। তথ্যগুলোর প্রতি মনোযোগ দিলে সেগুলো মস্তিষ্কে ধরে রাখা সহজ হয়।
২/তথ্যগুলোকে সংগঠিত করা:
তথ্যগুলো একসাথে সাজিয়ে রাখলে তা মস্তিষ্কে ধরে রাখা সহজ হয়। এই প্রক্রিয়াটি “তথ্য সংযোগ” নামে পরিচিত।
৩/তথ্যকে ছোট অংশে ভাগ করা:
একসঙ্গে বেশি তথ্য মাথায় রাখতে চাইলে সেগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন। এতে করে প্রতিটি অংশ মনে রাখা সহজ হবে এবং মস্তিষ্কের উপর চাপ কম পড়বে।
৪/মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা:
মানসিক চাপ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম স্মৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৫/স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:
সুষম খাদ্য গ্রহণ, ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কর্মক্ষম স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
একজীবনে অনেক বছর বেঁচে থেকেও নিজেকে চেনা হয়ে ওঠে না
কবিগুরুর কথা, ‘কেশে আমার পাক ধরেছে বটে, তাহার পানে নজর কেন এত সত্যি তা-ই। বয়স, শরীরের বয়স তো সংখ্যা বৈ কিছু নয়। মন বুড়ো না হলেই হলো।
শরীর মনে সুস্থ থাকা বড়ই কাম্য সবার জন্য। বয়স যতই হোক, বয়সের বারান্দায় রোদ্দুর পড়বে, আর এক কাপ চা হাতে পত্রিকা পড়তেই হবে পা দুটো নাচিয়ে নাচিয়ে সেই রোদ গায়ে মেখে।
বুড়ো হব, জীবনে নানা পরিবর্তন ঘটবে। প্রিয়জন হারাতে হবে, চাকরি শেষে অবসরে যেতে হবে, সন্তানেরা যাবে দূরে, নিজ নিজ ঘরে, কর্মস্থলে, শরীরও বুড়ো হবে; তবু মানিয়ে নিতে হবে সবকিছু ভালো থাকার জন্য।
পেরিয়ে যাবে ষাট, সত্তর, আশি…। সত্তরের মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাব। একেক বয়সে এক একভাবে নিজেকে আবিষ্কার করব। নতুন জিনিস পাব উপভোগের জন্য, পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াব, শরীরকে রাখব সচল ও সক্রিয়, বন্ধুবান্ধব মিলে আড্ডা জমাবো।
বুড়ো হলে মনে জাগে শঙ্কা-ভয়, তা কেন হবে। মনকে শক্ত করে এগিয়ে যাব। ‘আমরা করব জয়’ এই মন্ত্রে উজ্জীবীত থাকতে হবে। বুড়ো হওয়া মানে রুগ্ন হওয়া নয়। এমন অনেক বুড়ো আছেন, যারা ভীষণ দুরন্ত। স্বাস্থ্যকর আহার, ব্যায়াম, চাপ মোকাবিলা করে চলেন। এমন ঈর্ষণীয় বুড়ো হওয়া কঠিন কোনো কাজ নয়।
বুড়ো হলে সবারই ভুলো মন হয়। কোনো কোনো বিষয় ভুলে গেলেই সেটা বয়সের কারণে হচ্ছে না ভেবে নিজেকে তরুণ ভাবুন। দেখবেন আপনার ভুলোমন অনেকটায় স্মরণ করতে পারছে। আপনি নিজেও উদ্যোম পাবেন।
বয়সী এক টগবগে নারী ইলা রানী দত্ত। সেদিন হঠাৎ খেয়াল করলাম আমাদের প্রাইমারি স্কুলের ২০০৫ সালের করা বর্ণমালার চার্ট মলিন হয়ে গেছে। আমি ভাবছিলাম চার্ট নতুন ভাবে আবার কাকে দিয়ে করাব। কাউকে দায়িত্ব দেয়ার আগেই হঠাৎ দেখি সেদিন আমার সহকর্মী পলাশ একটি বর্ণমালার চার্ট এনে আমাকে দেখালো। বলল, ‘বাসায়
আশি বছর বয়সী এই ভদ্রমহিলা ইলা রানী দত্ত অনায়াসে লিখে দিলেন বাংলা বর্ণমালা। কী সুন্দর! যা আজকাল বর্ণ লিখার সবাই মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি অবলম্বন করেও লেখানো যায় না। মুনমুনের মুখে শুনেছি তার প্রাজ্ঞতার কথা। তার জ্ঞানের কথা। তিনি এখনো বাড়ির সবার জন্য জলখাবার, পিঠাপুলি, মন্ড মিঠাই সব বানাতে পারেন।
অনেক কৃতজ্ঞতা বিলকিস বেগম। অনেক ভালো থাকুন। আসলে আপনি প্রমাণ করে দিলেন জীবনীশক্তি থাকলে বয়স কোনো বিষয় নয়। এই প্রসঙ্গ ধরেই আমি সবার জন্য জীবনীশক্তি নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরছি।
জীবন মানেই এখন এক অন্তহীন মাঠে দৌড় প্রতিযোগিতা, টিকে থাকার এক কঠিন লড়াই। সংগ্রামময় জীবনে টিকে থাকার জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে একদিন হুট করেই পৃথিবী থেকে চলে যাই আমরা। জীবনের এই ছোট্ট পরিসরে আমরা কতভাবে সময় পার করি। কতকিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকি। কখনো পড়াশোনা নিয়ে, কখনো চাকরি নিয়ে, কখনোবা সামাজিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে কেউ সাংবাদিক । এতকিছুর ভিড়ে নিজেকে দেয়ার মতো সময় আমাদের প্রায় কারোই হয়ে ওঠে না। অথচ আমরা নিজেরাই তো আমাদের সবচেয়ে আপন। তাই না? তাহলে কেন নিজেদের প্রতি এই অবহেলা? একবার ভেবে দেখুন তো, সপ্তাহে অন্তত একটা দিন কিছু সময়ের জন্য নিজেকে নিয়ে ভেবেছেন? শুধু নিজেকে সময় দিয়েছেন? অধিকাংশ মানুষের উত্তর হবে-না।
প্রকৃতি যেমন তার ওপর বিরূপ আচরন করার জন্য প্রতিশোধ নেয়, আমাদের শরীরও অবহেলা সহ্য করতে করতে একসময় চরম প্রতিশোধ নেয়। নিজেকে সময় না দিলে শরীর-মন দুটোর ওপরই খুব খারাপ প্রভাব পড়ে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট