ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পিতা, মাতা ও ছেলে সহ আহত-৩,ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি
আবদাল মিয়া মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি,
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের শাসন এলাকার ইলামপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত জৈতাছড়ায় শেভরনের কনডেনসেট লাইনের পাইপে ছিদ্র থেকে তেল বেরিয়ে আসার পর কোন এক উৎস থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। এই ঘটনায় একই পরিবারের পিতা-মাতা ও ছেলে সহ তিনজন মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। তারা বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে কি পরিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে মঙ্গলবার ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৮টার দিকে ইলাম পাড়া অংশে অগ্নিকান্ত শুরু হয়। এই ঘটনায় একই পরিবারের বাবা,মা ও ছেলেসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন,বশির মিয়া (৫০) এবং তার ছেলে রেদোয়ান মিয়া (২০) ও তার মা সুফিয়া বেগম (৪৫)। প্রথমে তাদের শ্রীমঙ্গল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল, পরে সিলেটে এবং সেখান থেকে ঢাকা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে কি কারণে তারা বাপ,ছেলে ও মা সেখানে গিয়েছিলেন তা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি। আহত তিনজনের ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার আব্দুল ওয়াহিদ নিশ্চিত করেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের একটি দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ঘন্টা ভেবে চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুত্রে জানা যায়,খবর পাওয়ার পর পরই তিনি (ইউএনও) ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শেভরনের কনডেনসেট লাইনের পাইপ লিকেজের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন,ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।
দুর্ঘটনার সময় পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি এবং তদন্ত কমিটিতে কে কে রয়েছে তাও জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, ছড়ার মধ্যে দিয়ে চলমান লাইনের উপরে একটি বড় ঢালাই করা স্ল্যাপ রয়েছে, এই স্লেপটি সরানো খুব সহজ নয়, বিনা কারণে সেটা সরে যাবে এমনটিও নয়। তাদের প্রশ্ন কিভাবে স্লেপটি সরে গেল? এর উত্তর খুঁজে বের করতে পারলেই সঠিক কারণ জানা যাবে।
অপরদিকে এলাকাবাসীর দাবি বালু চুরির জন্য এরূপ ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ লোকের দাবি, যেভাবেই ঘটনা ঘটুক এর সঠিক তদন্ত করার জন্য তদন্ত কমিটির খুব প্রয়োজন যদিও ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে উপজেলা কর্মকর্তা জানিয়েছেন