বান্দরবানের রুমায় মাদ্রাসায় জামায়াতের বৈঠক, এলাকায় চাঞ্চল্য
ক্রাইম রিপোর্টার
মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বান্দরবান
বান্দরবান রুমা উপজেলার জাবালুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় রাত ১০টার দিকে জামায়াতে ইসলামের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন জামায়াত কর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন কর্মী পোস্ট দিয়ে লিখেন—“রুমা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামের আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে”। তিনি কয়েকটি ছবি আপলোড করেন, যেখানে স্পষ্ট হয় বৈঠকটি মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় একাংশের দাবি—ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক বৈঠক আয়োজন নিন্দনীয় ও অনৈতিক। তাদের মতে, মাদ্রাসা শিশু-কিশোরদের শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশাসনের জায়গা, সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হওয়া উচিত নয়। অন্যদিকে, জামায়াত নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলে দাবি করছেন।
মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান একদিকে রুমা উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমীর, অন্যদিকে উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি। ফলে তার দ্বৈত ভূমিকাকেই অনেকে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছেন।
উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি ও রুমা উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমীর খলিলুর রহমান কে প্রশ্ন করার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক বৈঠক শিক্ষা আইন ও সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী অবৈধ। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে সমাবেশ ও সংগঠনের অধিকার থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় কর্মকাণ্ড চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে।
জাবালুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক.আজিম উদ্দিন . গণমাধ্যমকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে এলাকাজুড়ে মাদ্রাসায় রাজনৈতিক বৈঠক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বান্দরবান জেলার আমির এডভোকেট আবুল কালাম কে তিনি জানান বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি কিছু জানেন না তবে বিতর্ক সৃষ্টি না করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এবং রুমা উপজেলা আমির খলিলুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানবেন বলে গণমাধ্যম কে অবহিত করেছেন এডভোকেট আবুল কালাম