বিএনপি নেতা এ্যানি কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, ইসলামি আনদোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলার বিবৃতি।
হাছিবুর রহমান
জেলা প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর।
২২ সেপ্টেম্বর সন্ধায় দলটি জেলার প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওঃ মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক জেলার আইডি থেকে পোস্টের মাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও সেক্রেটারী মাওলানা জহির উদ্দিন আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। জনাব এ্যানি জনৈক জনসভায় বক্তব্য দানকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই সম্পর্কে অশ্লীল ও অশালীন মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে, তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। এ্যানির মতো একজন ব্যক্তি এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাজনৈতিক এবং সচেতন মহলকে ব্যথিত করেছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বিএনপি হচ্ছে ডিরেক্ট স্বৈরাচারের সঙ্গী। কারণ তারা ২০১৮ সালের অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে তাদের ৬ জন এমপি পাঠিয়েছে। ২০১৮ এর ডামি নির্বাচনের স্বীকৃতি দানকারী দল হলো বিএনপি। এখন তারা পাগলের মত আবোল তাবোল বলে উঁদুুর পিন্ডি বুধুর ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে। অর্থাৎ নিজেদের দোষ আড়াল করার হীন চেষ্টা করছে। পাবলিক সেন্টিমেন্টকে ভিন্ন দিকে ডাইভার্ট করার পাঁয়তারা করছে।
জাতীয় চাঁদাবাজরা মিথ্যা ছাড়া কিছু বলতে পারে না। মিথ্যা কথা বলাই এ্যানি চৌধুরীরদের পূঁজি! যা বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝে গেছে। আমরা তার মিথ্যাকথা প্রত্যাহারের আহবান জানাই, এবং তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে, মানহানির মামলা করতে বাধ্য হবো।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, মূলত ৫ আগস্ট এর পর ইসলামপন্থীদের ঐক্য এবং এক বাক্সে ভোটের প্রক্রিয়াকে বিএনপি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। নির্বাচনে বিএনপির জন্য একমাত্র বাধা 'ইসলামী জোট'। এতে তাদের ভরাডুবি জেনে তারা ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেঈমান তো তারা, যারা শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতেছে।