লেমুয়া ইউনিয়ন পরিষদে কেঁচো বাহির করতে গিয়ে সাপ বাহির হয়ে আসলো
মোহাম্মদ হানিফ ফেনী সদর প্রতিনিধি
লেমুয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মুন্সী কামরুল ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তার জবাব।
সম্প্রতি লেমুয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মুন্সী কামরুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তিনি গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক লাইভে এসে জবাব দেন।
প্রধান অভিযোগ ও তার বক্তব্য:
১. বালু মহলের টাকা আত্মসাৎ
অভিযোগ ছিল, বালু মহল থেকে প্রাপ্ত অর্থ তিনি নিয়েছেন। মুন্সী কামরুল বলেছেন, তিনি কোনো অর্থ গ্রহণ করেননি।
বরং বিএনপি'র বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রায় ২৪-২৫ লাখ টাকা ভাগ নিয়েছেন বলে তার কাছে তথ্য আছে।
বালুর ঘটনা কিছু না আওয়ামী লীগ দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় ছিল বালু উত্তোলন করে খেয়েছে শেষ ৫ আগস্ট তারা সবাই পালিয়ে গেছে বালু মহলে বালু ছিল মজুদ সেই বালু বিএনপি'র একপক্ষকে দিয়ে আওয়ামী লীগ বিক্রি করিয়ে আসল টাকা নিয়ে এবং লভ্যাংশ বিএনপি'র বর্তমান রানিং নেতাদের দিয়েছে।
লেমুয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দাবী সেখান থেকে জামাতে আমির মুন্সি কামরুল ইসলাম
শুনেছি জামাতের আমির তিন লক্ষ টাকা ভাগ পেয়েছেন।
কিন্তু সে অস্বীকার করে বলেন পায় নাই আসলে কি পায় নাই নাকি তার দলের লোকদের ভাগ দিতে হবে সেজন্য অস্বীকার করছেন।
জামাত ইসলামের সক্রিয় একজন কর্মির সাথে আলাপ কালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, বালু মহল থেকে তিন লক্ষ টাকা পেয়েছে আমি ও শুনেছি তাকে জিজ্ঞাসা করার পর অস্বীকার করে যে, তিনি কোন বালু মহল থেকে কোন টাকা নেয় নাই।
অপরদিকে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, ওই বালু মহল ছিল আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ গোপনে চলে গেলে তাদের লোকজন বালু বিক্রি করে টাকা নিয়ে গেছে।
এখানে বিএনপি’র কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
২. আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া
অভিযোগ উঠেছে, তিনি ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় দিয়েছেন।
মুন্সী কামরুল বলেছেন, তিনি কেবল তার বাড়ির পাশের আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল হককে কিছুটা সহযোগিতা করেছেন।
ফেনী থেকে কিছু তথাকথিত ছাত্র-সমন্বয়ক সেখানে গিয়েছে চাঁদাবাজির জন্য, আর এখানে বিএনপির এক পক্ষ জড়িত।
কিন্ত মধ্যম চাঁদপুর ১ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্তাসী শন্কর শীল কে জামতের আমিরের সম্মতিতে মধ্যমচাঁদপুরের জামাতের লোকেরা সেল্টার দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন।
বিএনপি নেতারা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, সস্তায় ভোটের রাজনীতি করার জন্য মুন্সী কামরুলসহ কয়েকজন জামায়াত নেতা আওয়ামী লীগকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে।
৩. গরিবের চাল আত্মসাৎ
অভিযোগ উঠেছে, তিনি প্রভাব খাটিয়ে তার বিবাহিত বোন ( নাম রোকসানা আক্তার) নামে মাসিক ৩০কেজি চাউল লেমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিডব্লিউবি কর্মসূচি জন্য উপকার ভোগি মহিলাদের নির্বাচনের তালিকা ছক ডিডব্লিউবি চক্র ২০২৫ থেকে ২০২৬ সাল অর্থবছর কার্ড বানিয়ে দিয়েছেন।
তার বোনের স্বামীর বাডি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার করেরহাট হিঙ্গলী ইউনিয়ন এর বাসিন্দা। রোকসানা আক্তারের স্বামী চাউল উত্তোলনের সময় কার্ড নিয়ে এসে চাউল তুলে নিয়ে যায়।
তার বোনের নাম মাষ্টার রোল এর কাগজ ২নং পাতায় সিরয়াল নং ১৬।
মুন্সী কামরুল বলেছেন, গরিব হলে সে যে কোনো দলের নেতা বা আত্মীয় হোক, তার অধিকার আছে।
তবে সমালোচকরা বলছেন, তার বোন বিবাহিত এবং অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দা। সেক্ষেত্রে তিনি দুই ইউনিয়ন থেকে চাল নিচ্ছেন কিনা সন্দেহ তৈরি হয়েছে। যদি তা-ই হয়, তাহলে অন্য কারও প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
মুন্সী কামরুলের সার্বিক বক্তব্য:
তিনি দাবি করেছেন, ৫ আগস্টের পর তিনি বহু মানুষকে সাহায্য করেছেন, টাকার প্রতি তার কোনো লোভ নেই।
তার ফেনীতে বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। যদি তার বোন সত্যিই গরিব হন, তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, তিনি কেন সরাসরি তার বোনকে সহযোগিতা না করে ইউনিয়ন পরিষদের গরিবের চাল দিতে হলো।
সাপ মারতে কেঁচো বাহির হয়ে আসে বিএনপি'র কিছু কিছু নেতা ও এই চাউলের দুর্নীতিতে জড়িত আছেন।
উত্তর চাঁদপুরের বিএনপি নেতা তার স্ত্রী ও বিবাহিত বোনের নামে কার্ড বানিয়ে নিয়েছেন। এদিকে জামাতের আরেক নেতা আরিফুল হক একজনের নাম দিয়েছেন তার আত্মীয় বাড়ি চনুয়া ইউনিয়ন। চাউল পেয়েছে লেমুয়া ইউনিয়ন থেকে।
অন্যদিকে জামাতের সাবেক আমির এসিড নিক্ষেপের আসামি ফয়েজ একজনের নামে কার্ড বানিয়ে দিয়েছেন তার বাড়িও লেমুয়া ইউনিয়ন নয় সে, শুধু থাকেন দক্ষিণ চাঁদপুর ২ নং ওয়ার্ডে। রহিমা খাতুনের নামে কার্ড হয়েছে।
লেমুয়া ইউনিয়নের বিএনপির আর এক নেতার বোনের নাম মমতা বেগম(স্বামীর নাম সামছুল হক) পিতা মৃত মুকবুল আহমেদ এর মেয়ে তার দ্বিতীয় তলা একটি বাড়ি আছে দুই ছেলে প্রবাসে থাকে।দ: চাঁদপুর ২ নং ওয়াড়।
বিএনপির বর্তমান কমিটির আর এক প্রভাব শালী নেতা নেয়ামতপুর মিঝিবাড়ি চাচা হান্নানের পরিবারের ও এ চাউল যায়।এ হান্নান খুবই বৃত্তশালী লোক অনেক সম্পতির মালিক।ঘরবাডি বিল্ডিং।
বিএনপি'র বর্তমান কমিটির প্রভাবশালী এক নেতার( মিরগন্জের) পরিবারে ও দুইজনের নামে চাউল উত্তোলন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ জনতা বলেন আওয়ামী লীগের আমলে যে দুর্নীতি হয় নাই তার থেকেও বেশি দুর্নীতি হচ্ছে এখন, এবং জামাতের আর এক নেতা দ: চাঁদপুর আকাশের মায়ের নামে কাড় করে চাউল উত্তোলন করেছেন।
বিএনপি'র কিছু কিছু নেতার দ্বারা।
সরে- জমিনে তদন্ত করে পাওয়া গেছে নিরীহ খুব কম লোকে এই উপকার ভোগের তালিকায় নাম এসেছে।
লেমুয়া ইউনিয়নের জনগণের দাবি সকল অনিয়মের সাথে ইউনিয়ন সচিব ও সরকারের নিয়োগ কৃত প্রসাশক জডিত।
তারা দুইজনে জেনে শুনেও এ অনিয়মের সহযোগিতা করছেন।
লেমুয়া ইউনিয়নের কেরনিয়া ৬ নং ওয়াড এর কেরানী তাহের এর ভাই সাদ্দাম জামাত নেতা তার মায়ের নামে কাড বানিয়ে চাউল উত্তোলন করে নিয়েছে।
বি:দ্র-লেবুয়া ইউনিয়নে নাগরিক সুবিধা জর্মার সার্টিফিকেট সরকারি ফ্রি থেকে ২০০ টাকা বাত্তি নিচ্ছেন। ওয়ারিশ সনদ আরে সনদ সরকারে ফ্রি থেকে তিন থেকে চারশ টাকা বাড়তি নিচ্ছেন। নাগরিক সার্টিফিকেট যাহা নিতে গেলে নিচ্ছেন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। ট্রেড লাইসেন্স সরকারি ফ্রি থেকে দুই থেকে তিনশ টাকা বেশি নিচ্ছেন এই টাকা গুলি কোন খাতে জমা হচ্ছে স্রষ্টা তদন্ত করলে আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। ইউনিয়ন পরিষদ এখন জামাত-বিএনপি সরকারি কর্মচারী এবং সরকারের নিয়োগ সরকারের নিয়োগ কিত প্রশাসকের নীতি গস্তে জড়িয়ে পড়েছেন নাগরিকদের ভোগান্তির শেষ নেই।
তাই লেমুয়া ইউনিয়ন এর সাধারণ জনগনের দাবী ফেনী জেলা প্রসাশক / উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ও ফেনী জেলা / উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার, জেলা / উপজেলা সমাজ সেবক অফিসার, আপনারা সরে-জমিনে তদন্ত করে উক্ত তালিকাটি পুনরায় তৈরি করার জন্য দাবী জানাচ্ছে। এ অনিয়মের সাথে যে সকল কর্মকর্তা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য অনুরোধ রহিল।