বান্দরবানে আওয়ামী লীগ পরিবারের বিরুদ্ধে সরই এর সর্বসাধারণের মানববন্ধন
মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক
ক্রাইম রিপোর্টার বান্দরবান
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের হাবিবুর রহমানের ইস্ত্রি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কালেদা মেম্বার
সরই ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রিনা আক্তার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জব্বার মেম্বার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুবলীগের সভাপতি বাবুল যুবলীগ নেতা আব্বাস এবং তাদের মূল হোতা হাবিবুর রহমান কর্তৃক অবৈধ ভাবে কবরস্থান সহ বিভিন্ন জায়গা জবরদখল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নির্যাতিত পরিবার ও সরই এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় আজ জুম্মা বার বিকাল ৩ টায় কেয়াজু পাড়া বাজারের চৌরাস্তায়
এতে বক্তব্য রাখেন (১) মাওলানা আব্দু সফুর (২) ভুক্তভোগী মোঃ রায়হান (৩) জসিম উদ্দিন (৪) বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন (৫) সরই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুল আলম আরো অনেকে
বক্তব্যের মাধ্যমে জানান স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ পরিবারের নির্যাতন হয়রানি মুলুক মিথ্যা মামলা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ জানায় বক্তারা
লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের আওয়ামী স্বৈরাচার নেতা হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী সরই ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেদা মেম্বার এবং তাদের ছেলে যুবলীগ নেতা বাবুল, ৩নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দু জব্বার কর্তৃক একের পরে এক কবরস্থান ও স্থানীয়দের জায়গা জবর দখল চেষ্টার প্রতিবাদে মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবরে
স্বারক লিপি:
মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
১৯৬৯ইং সালে শ্যামা চরণ চাকমা নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে সরই ইউনিয়নের হাবিবুর রহমান পাড়া বাসিন্দা শফিকুর রহমান ও হাবিবুর রহমান এর নামে ৩০১নং সরই মৌজার ১৮নং হোল্ডিং মূলে ৮ (আট) একর ১ম শ্রেণির জায়গা ক্রয় করে। সেই থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত বসতবাড়ি নির্মাণ করে ভোগ দখলে স্থীত আছে। ঐ জায়গায় বসতবাড়ি স্থাপনের পর আশপাশে ২য় ও ৩য় শ্রেণির ৫ (পাঁচ) একর জায়গা ১৯৮৬/৮৭ সনে ৩২৯ নং হোল্ডিং মূলে বন্দ্যেবস্তি পায়। শফিকুর রহমানের উত্তর পার্শ্বে মৃত আব্দুল্লাহ ৯নং খতিয়ানে ক্রয়সূত্রে ১ (এক) একর জায়গা মালিকানাধীন আছে। ৩২৯নং হোল্ডিং ও ৯নং খতিয়ানের মাঝখানে আনুমানিক ৩ (তিন) একর ৩য় শ্রেণির খাস জায়গা আমরা এলাকাবাসী সবাই মিলে ২০০৭ সালে সামাজিক কবরস্থানের জন্য নির্ধারণ ও সংস্কার করি। উক্ত কবরস্থানে বর্তমান ১৫/২০টি কবর আছে। ২৫/০৫/২০১৪ইং তারিখে কবরস্থানের নামে বন্দোবস্তি পাওয়ার আবেদন করি। পরিকল্পিতভাবে ভুমি দস্যু হাবিবুর রহমান ১৮/০৬/২০১৪ইং তারিখে আনিসুর রহমানের ভিন্ন স্থানের বেদখলীয় আর/১৭নং হোল্ডিং এর কাগজটি ১) হাবিবুর রহমান, ২) আব্দু জব্বার, ৩) হারেছ কোম্পানী মিলে ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) টাকা মূল্য দেখাইয়া ভুয়া একটি দলিল করে। দলিল নং-৯৭০/২০১৪, বিষয়টি জানাজানি হলে হারেছ কোম্পানী সরে যায়। পরে হারেছ কোম্পানী থেকে হাবিবুর রহমান একটি ভুয়া নাদাবি নেয়। ভুয়া দলিল নং-১৮০। ২৭/১০/২০২০ইং তারিখে হাবিবুর রহমান ও জব্বারের নামে উক্ত হোল্ডিংটি রেকর্ড সংশোধনের জন্য মিস মামলার আবেদন করে। যার স্বারক নং-০৫,২৪,০৩০০,৩০৪,০৩,০০২,২০,৮৫০। এই মামলায় আপত্তি করিলে সেটি ফেলে রেখে অসাধু পন্থায় হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে যুবলীগ সভাপতি বাবুলের নামে উক্ত হোল্ডিং এর কাগজ থেকে ৪.৮০ (চার একর আশি শতক) জায়গা ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকার মূল্যে দেখাইয়া ১০/০১/১৯১৯ইং তারিখে ভুয়া পুনরায় দলিল করে। দলিল নং ৪৯/২০১৯। তাদের নামে রেকর্ড সংশোধনের জন্য ২৫/০৯/২০২৩ইং তারিখে মিস মামলা চালু করে। মামলা নং-৩৩ ডি ২০২৪ইং। সেই মামলায় ২৫/০৭/২০২৪ইং তারিখে আমরা আপত্তি করি, এর প্রেক্ষিতে মাননীয় আদালতের আদেশে গত ১০/০৭/২০২৫ইং লামা উপজেলা সার্ভেয়ার মিজান নজরুলকে নিয়ে সরেজমিনে তদন্তে আসে। তারা আওয়ামী স্বৈরাচারী ক্ষমতা ব্যবহার করে কবরস্থানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বাগান সৃজন করে। প্রায় ৫০ ফুট উচু পাহাড় কেটে একটি পাকা ঘর ও একটি মাটির ঘর নির্মাণ করে। এলাকাবাসী এর প্রতিবাদে ১৫/০৭/২০২৫ইং তারিখে লামা উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করে। মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে রায়হান ০১/০৯/২০২৫ইং তাদের ৯নং খতিয়ানের জায়গায় তাঁর পিতার রোপনকৃত গাছ ঘরের প্রয়োজনে কাটতে গেলে হাবিবুর রহমান গং রায়হানের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এই ইস্যু নিয়ে রায়হান সহ এলাকাবাসীর নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং ডলুছড়ি বাজার বায়তুশ শরফ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব সহ অনেক সম্মানি মানুষের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর ভিত্তিহীন মিথ্যা অপ-প্রচার চালাচ্ছে।
এমতাবস্থায় উক্ত হাবিবুর রহমান গং দের হাত থেকে কবরস্থান ও স্থানীয়দের জায়গা রক্ষা সহ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আপনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অনুলিপি:
ইতি/তারিখ: ১৯/০৯/২০২৫ইং।
বিনীত নিবেদকঃ
সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রদান করা হলো:
এলাকাবাসীর পক্ষে:
১) মো: রায়হান উদ্দিন।
১। নির্বাহী অফিসার মহোদয়, লামা উপজেলা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
২। অফিসার ইনচার্জ মহোদয়, লামা থানা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
৩। সম্মনিত আমীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
২) মাও: আব্দুস ছবুর।
৩) আব্দুল হাকিম
৪। সম্মানিত সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
৫। অফিসার ইনচার্জ মহোদয়, কেয়াজু পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি, সরই, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
৬। লামা উপজেলা প্রেস ক্লাব।
সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে স্বরক লিপির মাধ্যমে মানববন্ধন কর্মসূচি সমাপ্ত হয়