উপজেলা প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রুপালি লাইফ ইন্সুরেন্স মধুমতি সার্ভিস সেল পাটগাতি শাখার সিনিয়র জিএম সাঈদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক ভুক্তভোগী জানান, রুপালি লাইফ ইন্সুরেন্সের সিনিয়র জিএম সাঈদ আমাদের নামে ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে বিমা পলিসি করিয়ে দেয়। পরে আমরা বিমা পলিসির টাকা জমা দিলে আমাদের ভুয়া রিসিট দেন।
একাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতারণা করে লক্ষ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন, রুপালি লাইফ ইন্সুরেন্স পাটগাতি শাখার সিনিয়র জিএম সাঈদ ও তার মাঠকর্মী, লাভলী, হালিমা।
একাধিক ভুক্তভোগী জানান, সিনিয়র জিএম সাঈদ ও মাঠকর্মী,হালিমা, লাভলীর বিরুদ্ধে একাধিক বার রুপালি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষের।
কিছু ভুক্তভোগী জানান, আমাদের নামে ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে বিমা পলিসি করে দেন।
ভুক্তভোগী ইসকেন্দার আলি খান বলেন, আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের নামে ১৯-০২-২০২৩ সালে বীমা পলিসি করি এবং ৬০,৫৩৪ টাকা জমা করি পরে আবার ১ লক্ষ ২৭৬ টাকা জমা করি ২৮-১২-২০২২ তারিখে। বিমা পলিসি নম্বর- ২০৮০৬০৬৫৮-৮, ২০৮০৬১০০৯-১ একই ব্যক্তিকে ভুয়া আইডি কার্ড করে বিমা পলিসি করে দেন সাঈদ, হালিমা, লাভলী। আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের বয়স ৬২ বছর কিন্তু ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে ৪৮ বছর করে বিমা পলিসি করে দেন সাঈদ সাহেব। একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, ভুয়া রিসিট ও জাল পিয়ার দেওয়ার কারনে এই প্রতারক সাঈদ বিরুদ্ধে এর আগেও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয় ও টুঙ্গীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
শামিমা নামের এক ভুক্তভোগী জানান, সাঈদ নিজে এসে আমার পরিবারের ছয়টা বীমা পলিসি করে দেন ।এবং আমার স্বামীর অতিরিক্ত বয়স থাকা সত্ত্বেও তিনি ভুয়া কাগজ দিয়ে বীমা পলিসি করে দেন এই সাঈদ সাহেব। আমার স্বামীর বীমা পলিসি বাবদ ১২,০০০ হাজার টাকা নেন সাঈদ সাহেব। যেখানে বীমা পলিসি ৫০ বছর-এর বেশি হলে বীমা করা যায় না কিন্তু ভুয়া কাগজ দিয়ে বিমা পলিসি করেন । এই প্রতারক সাঈদ সাহেব আমার স্বামীর বয়স ৫০ এর বেশি কিন্তু সাঈদ সাহেব ভুয়া ভোটার আইডি কার্ড বানিয়ে বয়স কম দিয়ে তারপর বীমা পলিসি করেন। এক বছর টাকা দেওয়ার পরে আমার স্বামী সাইফুর রহমান মারা যান পরে আমার স্বামীর মৃত্যু দাবি টাকা চাইতে গেলে টুঙ্গিপাড়ার শাখার ম্যানেজার সাঈদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেন। এবং আমার নামে দুইটা বীমা পলিসি করেন প্রথমটায় ১২০০০ হাজার টাকা নেন, পরে আর একটায় ৬০০০ টাকা নেন। ভুক্তভোগী শামিমা জানান, আইরিন আক্তার (১২০০০) হাজার টাকা, লাইলা আক্তার (৬০০০), আন্না আক্তার (৬০০০), একই পরিবারে মোট ৬ টা বীমা পলিসি করায় ।
তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বিশেষ অনুরোধ সাঈদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। ও সেই সাথে সকল গ্রাহকের বিমা পলিসি তদন্ত করে সাঈদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি ভুক্তভোগীদের ।