পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় নেছারাবাদ উপজেলার প্রশাসন, ইন্টেলিজেন্স ফোর্স (ডিজিএফআই), গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), নেছারাবাদ থানা (নিঃ) এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে যাচাই-বাছাই করে “জুলাই যোদ্ধাদের” নামের তালিকা প্রস্তুত করে। গেজেটে তালিকাভুক্ত যোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছে ছাকিন ইসলাম, আকাশ, খোন্দকার জুবায়ের আহমেদ ইমরান, ইমাম হোসেন, নবীন হোসেন, ইমরান শেখ, ওয়াহিদুজ্জামান, ফারদিন রানা সেজান, সোয়েব আহমেদ, মাশরাফি আহমেদ, তানবীর, শাহারিয়া, হৃদয় হাওলাদার, ফাহাদুর রহমান ইমন এবং আসলাম মিয়া।
জুলাই যোদ্ধা আহত “ক” শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী ছাকিন ইসলাম জানান, ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অন্ধ মার্কেটে পুলিশের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে অ্যানোম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তবে পরবর্তীতে প্রশাসনিক চাপের কারণে তিনি আত্মগোপনে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন। এছাড়াও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে তিনি চিকিৎসাগত সহায়তা বাবদ ১ লাখ টাকা পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। জুলাই মাসে ১ লাখ টাকা এবং মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা তিনি আদায় করেছেন।
অন্যদিকে, জুলাই যোদ্ধা আহত “গ” শ্রেণীর আসলাম মিয়া ও খোন্দকার জুবায়ের আহমেদ ইমরান জানালেন, তারা ১৮ জুলাই বরিশালে আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন। সরকারের অনুমোদিত “গ” শ্রেণির এককালীন ১ লাখ টাকা তারা পেয়েছেন, তবে অন্য কোনও সংগঠন থেকে তারা কোনও সহায়তা পাননি। জুলাই মাসে মাসিক ১০ হাজার টাকা তারা পেয়েছেন।
নেছারাবাদ থানার এসআই শেখ পারভেজ বিন কামাল জানান, আহতদের কাছাকাছি আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিলে এই ১৫ জন ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের সাথে জড়িত হয়ে আহত হওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। এ তালিকা নেছারাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত রিপোর্টে জানান, গণ-অভ্যুত্থানে আহত এই ১৫ জনের চিকিৎসাসেবা নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রদান করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল প্রতিষ্ঠানে তারা চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের ভিত্তিতে ১৫ জনের নাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।