আবির খান জামালপুর
কথা ছিল ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার, কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি সেই পুরনো রাজনীতিরই রঙিন সংস্করণ। হাইব্রিড নেতারাই পাচ্ছে দলে স্থান, ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের পদমর্যাদার অধিকার ।
সাবেক ফ্যাসিস্ট মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিনের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন ওসমান গনি। নির্বাচনকালীন নিজ এলাকায় নির্বাচন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। দলের সকল কর্মকান্ডে তিনি ছিল সক্রিয় ভূমিকায়, নেতার সকল নির্দেশ পালন করেছেন আদর্শ কর্মী হিসেবে।
হাইব্রিড নেতা ওসমান গনি ঠিকানা মেলান্দহ থানা মনিকাডাঙ্গা (আমতলা) ফ্যাসিস্ট ওসমান গনির মধ্যে ফ্যাসিবাদের সমস্ত গুণাবলী বিদ্যমান তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, এবং ক্ষমতাকে চিরকাল ধরে রাখতে চান। তার সাধারণত শক্তি এবং কর্তৃত্বের মাধ্যমে শোষণ করতে চায় গ্রামের সাধারণ মানুষদের।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন ওসমান গনি ছিলেন তার এলাকায় আতঙ্কের নাম। এমন কোন অপকর্ম নাই যা তিনি করেন নাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, অবৈধ বিচারকার্য পরিচালনা এমনকি তার পিতার (ওয়াকফু) দানকৃত মসজিদের জমির দোকান ভাড়া তিনি উঠাতেন তার ক্ষমতার দাপটে। আজ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ নেই, তার ক্ষমতা নেই।
কিন্তু ওসমান গনি দরকার ক্ষমতার! এ কারণে বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে, বিএনপি’র বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। হতে চাচ্ছেন বিএনপি নেতা।
ফ্যাসিস্ট ওসমান গনির মতো অতি নেতা, পাতি নেতা, সিকি নেতা, ও হাইব্রিড নেতারা দলকে বেশ দুর্বল করছে। তাদের বিষয়ে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
ছবি ও তথ্য সংগ্রহের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন ওয়াহেদুজ্জামান সুইট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল জামালপুর।