পটুয়াখালীর বাউফলে দীর্ঘদিন ধরেই সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দপ্তরের কাজ চলছে ধীরগতিতে। পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) দুইটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বই পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম। দপ্তরের দায়িত্বে থাকলেও নিয়মিত অফিসে তাকে পাওয়া যায়না। যারফলে গুরুত্বপূর্ণ বহু কাজ তার সাক্ষরের অপেক্ষায় আটকে আছে।
কর্মকর্তাদের সংকটে জনগণের সমালোচনা ও ক্ষোভ আরও উস্কে দিয়েছে সদ্য পদায়ন হয়ে বাউফলের এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পাওয়া সোহাগ মিলু’র লম্বা ছুটির খবর। তিনি দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তিনিদাপ্তরিক কাজ শুরু করেননি।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে মো. সোহাগ মিলু’কে বাউফল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে পদায়ন করা হয়।
বাউফল ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২৬ আগস্ট সোহাগ মিলু বাউফলে আসেন। ভারপ্রাপ্ত এসিল্যান্ড ও ইউএনও আমিনুল ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎও করেন। কিন্তু তাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়নি। এখনো ইউএনও দায়িত্বে আছে। কিন্তু তিনি ভূমি অফিসে তেমন আসেন না, ফাইল নিয়ে কর্মকর্তাদের উপজেলা পরিষদে যেতে হয়।পৌরসভার কর্মকর্তারাও ভুগছেন একই সমস্যায়। তাদের ফাইল নিয়ে দৌড়াতে হয় উপজেলা পরিষদে ইউএনও কার্যালয়ে।
মুঠোফোনে আলাপকালে এসিল্যান্ড সোহাগ মিলু বলেন, নতুন পরিবেশে আবহাওয়াজনিত কারণে শারিরীকভাবে অসুস্থতা বোধ করছেন। ইউএনও স্যার বললেন ঘুরে আসতে। পরিবারকে সাথে নিয়ে শিগ্রই বাউফলে ফিরবেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে ইউএনও আমিনুল ইসলামের মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন জানেনই এসিল্যান্ড দায়িত্ব নেয়নি। তিনি প্রশ্ন করে বসেন, আপনাকে কে বলছে এসিল্যান্ড নেই। পরবর্তীতে তিনি জানান, হয়তো অসুস্থতার কারণে ডাক্তার দেখাতে গেছে। যোগদান করেছেন ইতিমধ্যেই তিনি। হয়তো দায়িত্ব হস্তান্তর হয়নি। খুব দ্রুত এসিল্যান্ড যোগদান করে বলে জানান তিনি।