ক্রেতাদের নাগালের বাইরে
সবজির দাম কমেছে সবজি বিক্রি
অপু, স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী
রাজশাহীর মহানগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম বেড়েছে লাগামহীম ভাবে। প্রাই দুই মাসের বেশি সময় ধরে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া এ দামের কারণে বাজারে সবজির বিক্রি কমেছে।ক্রেতারা বলছে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা প্রয়োজন।না হলে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ পরবে মহা বিপদে।
মহানগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির ধরণ ভেদে কোনো কোনো সবজির দাম ২/৩ গুন দাম বেড়েছে, কাঁচা পেঁপে ও আলু ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজিই ৭০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
মিষ্টিকুমড়া ৭০ টাকা,পেঁয়াজ ৭০টাকা,
ওল ১০০ টাকা,লাল শাগ ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮৫ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৭০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, ধন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৯০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা,দেশি লাল আলু ৩৫ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টা
রাজশাহীর সাহেব বাজারে বাজর করতে আসা সাধারন চাকুরিজীবী মামুন রেজা বলেন,“সবজির দাম এত বেশি যে এখন আধা কেজি বা আড়াই’শ গ্রাম করে কিনতে হচ্ছে।
রিস্কাচালক জামান বলেন কেনো যে এমন হচ্ছে বুঝতে পারছিনা এমন ভাবে সব কিছুর দাম বাড়তে থাকলে আমরা তো মহা সমস্যায় পরবো।
৭০-১৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। শুধু আলু আর কাঁচা পেঁপের দাম একটু কম। সাধারণ মানুষ এত বেশি দামে কীভাবে সবজি কিনবে? তবুও বাধ্য হয়ে অল্প অল্প কিনতে হচ্ছে।”
দাসপুকুর বউ বাজারের সবজি বিক্রেতা আবজাল হোসেন বলেন, “সবজির দাম বাড়তে থাকায় ক্রেতারা কম কিনছে। আগে যেখানে এক আইটেম ২৫-৩০ কেজি করে আনতাম, এখন ৭-৮ কেজি আনলেও ঠিকমতো বিক্রি হচ্ছে না। এতে আমরাও ক্ষতির মুখে পড়ছি।”
লক্ষীপুর কাঁচাবাজারের আরেক বিক্রেতা বলেন, “এখন বেশিরভাগ সবজির মৌসুম না। সরবরাহ কমে গেছে, তার ওপর টানা বৃষ্টিতে ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম অনেক বেশি, ফলে খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”
শুধু এই বাজার গুলো তে নয়,নগরের সব বাজার গুলো তে খোঁজ নিয়ে দেখে গেছে পূর্বের তুলনাই সবজির দাম বেশি।
সবজির চড়া দাম সাধারণ ক্রেতাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদেরও বিপাকে ফেলেছে। সরবরাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি মৌসুমি প্রভাব ও আবহাওয়াজনিত কারণে দাম আরও কিছুদিন বাড়তি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।