মিথ্যার কারখানা পরিদর্শন:
মোঃ নুর উদ্দিন, জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী।
মিথ্যার কারখানা পরিদর্শন বললেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আরিফুর রহমান।
তিনি বলেন
একটি প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কিছু অসাধু শিক্ষক কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে পারে তা শরীফপুর ইউনিয়ন এর দারুল ফালাহ দাখিল বালিকা মাদ্রাসায় গেলে দেখতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৫ জন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে। গতবছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই ফেল করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একটি মুরগি/গরুর খামারে ক্লাস চলছে। প্রতি শ্রেণীর জন্য বরাদ্দ ১ টি বা সর্বোচ্চ ২ টি বেঞ্চ। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কয়েকমাস আগে উপজেলায় দেখা করতে আসলে তাদের কতজন শিক্ষার্থী রয়েছে তার তথ্য দিতে বললে কেউ বলতে পারে নি। পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর তাদের কোন ক্লাসে কতজন শিক্ষার্থী রয়েছে তার তালিকা জমা দিতে বললে তারা প্রায় ২৪০ জনের তালিকা দেয়। সরেজমিনে গিয়ে তৃতীয় শ্রেনী থেকে ১০ ম শ্রেণী পর্যন্ত মাত্র ২৭ জন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষকরা মিথ্যা বলা শিখিয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সকলে অবলিলায় মিথ্যা বলে। তাদের প্রতিটি কথাই মিথ্যা।
এই প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্তির সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল। টাকার বিনিময়ে যারা প্রতিষ্ঠাকালীন ছিল তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়োগ দেয়। নিজস্ব জায়গা নিয়েও সমস্যা আছে। এলাকার মানুষের সাথেও সম্পর্ক খারাপ।
একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মিথ্যার উপর ভর করে কখনো চলা উচিত নয়। এধরনের প্রতিষ্ঠানের কারণে অন্যদের বদনাম হয়। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী দায়ী সকলের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি অত্র মাদ্রাসা পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।