ধর্মপাশায় পাইকুরাটি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি কমিটিতে অনিয়মের অভিযোগ
রবি মিয়া, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির নবগঠিত কমিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি ও অর্থের বিনিময়ে পদ বণ্টনের অভিযোগ উঠেছে।
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার দুপুর ১২টায় বাদশাগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে ত্যাগী নেতাকর্মীরা এ অভিযোগ তুলে ধরেন।
স্থানীয় ত্যাগী নেতা মনোয়ারা হোসেন টিটু বলেন,
আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন সহ্য করেছি, কিন্তু কখনও দল থেকে সরে যাইনি। অথচ দুঃখজনকভাবে আমাদের মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী সমর্থিত ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।বিগত ২০০৯সাল ও ২০১৪ সালে কমিটিতে সে সদস্য ও ছিলেন না, অথচ তাকে ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি নিযুক্ত করেছেন, পাইকুরাটি ইউনিয়নের যুগ্ন আহবায়ক হারুন অর রশিদ সরকার তিনি আমাকে তার বাসায় নিয়ে উনার স্ত্রী দুইজনে মিলে আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে, এক লাখ টাকা দিলে আমাকে কমিটির সভাপতি বানিয়ে দিবে, এবং আহবায়ক মাহবুব মোর্শেদ আমাকে গাছতলা বাজারে নিরব জায়গা নিয়ে গিয়ে তিনি বলেন, আমাকে ৮০০০০ টাকা দিতে হবে, কমিটিতে আমি তোমাকে সভাপতি দিব, আমাকে ছাড়া কেউ তোমাকে কমিটিতে রাখতে পারবে না,
এ বিষয়ে মাহাবুব মোর্শেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুখে বললে কি হয়, প্রমাণ ছাড়া কোন কিছু হয় না,
হারুন অর রশিদ সরকার তিনি বলেন, আমার নামে যে অভিযোগ এগুলো মিথ্যা।
অভিযোগসমূহ
১. ফেসবুক ও সামাজিক মাধ্যমে যারা প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছেন, তাদেরকে নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
২. দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও নতুনদের পদ দেওয়া হয়েছে।
৩. ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সভাপতির পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
দাবিসমূহ
১. পাইকুরাটি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি কমিটি দ্রুত পুনর্গঠন করতে হবে।
২. প্রকৃত ত্যাগী, পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।
৩. আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।
উপসংহার
নেতাকর্মীরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করবেন এবং প্রকৃত নেতাকর্মীদের ন্যায্য দাবি পূরণ করবেন। অন্যথায় তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন ।