1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ধান বীজকে কেন্দ্র করে সং,ঘর্ষে আ,হত ২, একজন আশঙ্কাজনক | ক্রেতাদের নাগালের বাইরে সবজির দাম কমেছে সবজি বিক্রি বিজিবির চেক পোস্টে বিশেষ অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ মোটরসাইকেল আরোহী গ্রে,ফ,তার। সাটুরিয়া উপজেলার বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নির্বাচনী প্রচারণার অংশ পোস্টারের শোভাবর্ধণ। বগুড়া সারিয়াকান্দিতে ৫০ বছরের নারীকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হ,ত্যা ফেনী সদরের ছনুয়া ৯নং ওয়ার্ড টঙ্গীরপাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীনের পথে প্রচন্ড তাপদাহ শেষে ঝড়ের তাণ্ডব ময়মনসিংহে বগুড়া শাজাহানপুরে শ্যামলী পরিবহন বাস তল্লাশিতে ১০ কেজি গাঁ,জা,সহ দুইজন গ্রে,ফ তার তালায় নাতনীকে ধ,র্ষ,ণের অ,ভিযো,গে প্রতিবেশী নানা গ্রে,ফ,তার! দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ভিন্নধর্মী উদ্দ্যোগ উপজেলা বিএনপির।

আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

রিয়াজুল ইসলাম, প্রতিনিধি

তারেক রহমানের শপথ – “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে”

আজ ১ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৮ সালের এই দিনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবির প্রেক্ষাপটে জন্ম নেয় এ দল। বর্তমানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই দিনে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ বিবৃতিতে বলেন—

“গণতন্ত্রের মুক্তি, মানুষের ভোটাধিকার এবং জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন সামনে আসছে, তাতে বিএনপি অংশ নেবে জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার শপথ নিয়ে।”

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং একদলীয় শাসনের ফলে গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ে। ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক বিপর্যয়ের পর জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও বহুদলীয় রাজনীতির ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নেন। এ প্রক্রিয়ায় ১৯৭৮ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ” ছিল দলের মূল দর্শন, যার মূলমন্ত্র— জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি।

দলটি সবসময় বিশ্বাস করে যে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি হবে জনগণ, তাদের প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাজার অর্থনীতি, গ্রামভিত্তিক উন্নয়ন এবং ইসলামী মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নেয়।

বিএনপি ১৯৯১ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। এর আগে ১৯৭৮-৮১ সালে জিয়াউর রহমান এবং পরে ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-২০০৬ মেয়াদে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলটি সরকার পরিচালনা করে।

১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার – প্রেসিডেন্ট শাসন থেকে প্রধানমন্ত্রী-নির্ভর সংসদীয় পদ্ধতিতে ফিরে আসে বাংলাদেশ।
অর্থনৈতিক সংস্কার ও বেসরকারিকরণ – শিল্পখাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়।
বিদেশনীতি – প্রতিবেশী দেশ ও বৈশ্বিক পরাশক্তির সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার কৌশল অনুসরণ।
দারিদ্র্য হ্রাস কর্মসূচি – বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন।

২০০৮ সালের পর থেকে বিএনপি আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। রাজনৈতিক বিরোধ, আন্দোলনে দমন-পীড়ন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে দলটি বড় চাপে পড়ে। তবে বর্তমানে দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আসন্ন হওয়ায় বিএনপি আবারও জনআন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরে এসেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাতে এক বিবৃতিতে বলেন—
“বাংলাদেশের জনগণ বহুদিন ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের জন্য এক ঐতিহাসিক পরীক্ষা। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করছে এবং এই লড়াই ক্ষমতা দখলের জন্য নয়—এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন।”

তিনি আরও বলেন,
“আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। তার হাতে গড়া বিএনপি আজও দেশের মানুষকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে। এই দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়ব, যেখানে আইনের শাসন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে।”

বর্তমানে দেশে একটি নির্দলীয় সরকার ক্ষমতায় রয়েছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বিরোধী দল বিএনপি বারবার জোর দিয়ে বলেছে যে, তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। একই সঙ্গে দলটি জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়েছে— “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন।”

দলের ঘোষিত কর্মসূচিতে মূল অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা
দুর্নীতিমুক্ত শাসনব্যবস্থা গঠন
দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি
স্বাধীন বিচারব্যবস্থা ও মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ
তরুণ প্রজন্মকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত করা

আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় এবং তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা শপথ নিয়েছেন— “গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।”

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৪৭ বছরের ইতিহাস যেমন সংগ্রামের, তেমনি সাফল্যেরও। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত এই দল দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আজকের দিনে তারেক রহমানের আহ্বান— “দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।”
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি নতুন আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে উঠেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট