যুবলীগ নেতা এহতেশাম ফিরোজের স্বেচ্ছাচারিতা
ইমিশন স্কুল অধ্যক্ষ সহ শিক্ষিকারা বেতন বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন
বিশেষ প্রতিবেদক
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এহতেশাম ফিরোজ তার অধীনস্ত কর্মচারীদের দীর্ঘ দিন বেতন দিচ্ছেন না। এ কারণে কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এদের মধ্যে অধ্যক্ষসহ তিন জন শিক্ষক শিক্ষিকা, আয়া রয়েছে।
আরো অভিযোগ রয়েছে, বেতন না দিয়ে উল্টো নিজের মা কে দিয়ে মারধোর করে কর্মচারীদের চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। ফিরোজের মা আজিমা প্রতিদিন স্কুল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হাজির হয়ে কর্মচারীদের মারধোর সহ নানা ভাবে হেনস্থা করছেন।
যুবলীগ নেতা এহতেশাম ফিরোজ যশোর উপ শহরের সি ব্লক ২৯৯ নং প্লটে একটি ইংলিশ মিডিয়াম কিন্ডার গার্ডেন স্কুল করেন।যার নাম ইমিশন ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল। এই স্কুলে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় জেলার চৌগাছা উপজেলার ২নং পাশাপোল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পাশাপোলের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে আবু সালেহ @ স্বপন কে মাসিক ১৫০০০ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেন মৌখিক প্রক্রিয়ায়।
অধ্যক্ষ আবু সালেহ @ স্বপন বলেন, তার ১১ মাস বেতন দেয় না স্কুল পরিচালক এহতেশাম ফিরোজ। এমনকি স্কুলের দুই শিক্ষিকা ইতি ও শিমু সহ আয়া লতার বেতন ও দেননি। দীর্ঘ দিন বেতন বকেয়া থাকায় তিনি নিজে সহ স্কুলের সকল স্টাফ মানবেতর জীবন যাপন করছেন সপরিবারে।
জানা গেছে, ইমিশন ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল নামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যশোরে অনুমতি নেই। এই স্কুল পরিচালক এহতেশাম ফিরোজ যিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা। তার পিতার নাম গফুর বিশ্বাস। তার মা আজিমা।
এই যুবলীগ নেতার গ্রামের বাড়ি বলরামপুর। যা রূপদিয়া বলরাম পুর নামে পরিচিত। এটি যশোর সদর উপজেলার ১৪নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম। তবে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এহতেশাম ফিরোজের যশোর শহরেও বাড়ী রয়েছে। যা রেল রোড আদদিনের উত্তর পাশে অবস্থিত। এটি মাইকেল সঙ্গীত একাডেমি ভবন নামে পরিচিত।
এলাকাবাসি জানায়, বহু লোকজন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এহতেসামের কাছে টাকা পাওনা রয়েছেন। ব্যাংক সূত্র জানায় তিনি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেন না। জানা যায়, কমার্স ব্যাঙ্ক তার কাছে প্রায় ২০ লাখ পাওনা রয়েছে। এছাড়া মাছের ঘের কর্মচারী সফিকুল টাকা পাবে। কর্মচারী সফিকুল খুলনা পাইক গাছা এলাকার সন্তান।
এছাড়া জেনারেল এগ্রো সাইন্স টাকা পাবে। লামিয়া ময়মনসিংহ মৎস হ্যাচারী তার কাছে টাকা পাওনা রয়েছে। ফোন দিয়েও হ্যাঁচারি কতৃপক্ষ দায়িত্ব শীল কর্ম কর্তা আশরাফুল ইসলাম সাত্তার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
স্কুলের মহিলা কর্মচারী নাদিরা ও আফসানাকেও দীর্ঘ ছয় মাস মাসিক বেতন হিসাবে নিয়োগ দিয়ে এক টাকাও বেতন দেননি।
রূপদিয়া ও বলরামপুরের মানুষ জন বলেন, এই যুবলীগ নেতা ফিরোজ মানুষকে মানুষ মনে করে না। এমনকি নিজের চাচা ফেরদৌস আলম, চাচাতো ভাই রাজীব সজীবদের সাথেও তার বনিবনা নেই। তিনি প্রকল্প ম্যা নেজার কেও দীর্ঘ দিন বেতন দেননা। তবে ঐ ম্যানেজারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ কারনে তার নাম ঠিকানার হদিস মেলেনি।
ভুক্তভুগি সকলেই এই বকেয়া বেতন দাবি করে আইনি প্রক্রিয়ার পথে হাটছেন।