ধর্মপাশায় মুদাহরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
রবি মিয়া, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মুদাহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস না নিয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে সময় কাটান এবং বিদ্যালয় পরিচালনায় নানা অনিয়ম করে আসছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগসমূহ হলো
১. প্রতিদিন সঠিক সময়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না।
২. নিয়ম অনুযায়ী ছুটি না দিয়ে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটেই স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
৩. শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয় না।
৪. বিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
৫. শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন।
৬. বিদ্যালয়ে দপ্তরীর পদ শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কাজে অব্যবস্থাপনা দেখা দেয়।
৭. গণমাধ্যমকর্মীরা দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কোনো শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে পাওয়া যায়নি।
৮. শিক্ষার মান খারাপ হওয়ায় মুদাহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে এলাকার প্রায় ৮০% শিক্ষার্থী পাশের সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।
এ বিষয়ে মুদাহরপুর গ্রামের ও সেলবরষ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বলেন,
“এভাবে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। সরকার তাদের নিয়মিত বেতন দেয়, কিন্তু তাঁরা দায়িত্ব পালন না করে অবহেলা করছেন। এর ফলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। আমি এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় এনে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোবারক হোসেনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেননি। তিনি বলেন,
“আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখা যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানবেন্দ্র দাস সাংবাদিকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়ে বলেন,
“আপনি যে অনিয়মগুলোর কথা বলেছেন, তার সাথে আমি অনেকটাই একমত। প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগে আরও অভিযোগ এসেছে। আমরা ইতোমধ্যে তাকে সতর্ক করেছি এবং প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।