কক্সবাজারের রামু উপজেলার পানেরছড়া রেঞ্জের তুলাবাগান বিট এলাকায় অবৈধ ভাবে পাহাড় কেটে রাত-দিন ডাম্পার গাড়িতে করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট, পাহাড় কেটে সমতল করে তৈরি করা হচ্ছে বাড়িঘর। স্থানীয়রা জানায়, অঞ্জুঘোনা বনাঞ্চলের বিভিন্ন পাহাড়ে চলমান এ ধ্বংসযজ্ঞে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিদিন চোখের সামনে পাহাড় কেটে ফেলা হলেও তুলাবাগান বিট কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বরাবরের মতো নীরব ভূমিকা পালন করছেন। তার নীরবতা প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষের মনে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখা জানিয়েছে, পাহাড় কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এইভাবে একজন কর্মকর্তা দেখেও না দেখার ভান করার পেছনে কোন রহস্য লুকায়িত আছে কি না। তারা অবিলম্বে কক্সবাজারের বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও)-এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, পাহাড় কেটে সমতল করা শুধু বনভূমি নয়, পুরো ইকোসিস্টেমের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। অবৈধ এই কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে পড়বে এ অঞ্চল।