মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু জোনায়েদকে হত্যা, ঘাতক গ্রেপ্তার
মোঃ উজ্জ্বল
বিভাগীয় বিশেষ প্রতিনিধি ঢাকা
আশুলিয়ার মধুপুর ফারুকনগর এলাকায় মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে জোনায়েদ (৫) নামের এক শিশুকে হত্যা করেছে একই এলাকার ভাড়াটিয়া মোরসালিন। অপহরণের ১৩ দিন পর শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে র্যাব-৪ এর অভিযানে মূলহোতা মোরসালিন গ্রেপ্তার হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৮টার দিকে এলাকার একটি জঙ্গল থেকে শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশু জোনায়েদ গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার বোয়ালি গ্রামের সাগর মিয়ার ছেলে। পোশাক শ্রমিক বাবা-মায়ের সঙ্গে আশুলিয়ার ফারুকনগর এলাকায় মিয়াজ উদ্দিন ভান্ডারির বাড়িতে ভাড়া থাকত সে।
অপহরণের নেপথ্যে ঋণের বোঝা
গ্রেপ্তার মোরসালিন রাজশাহী জেলার গোদাগারী থানার কাপাসিয়া পাড়ার মামুন আলীর ছেলে। তিনিও একই বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।
র্যাব জানায়, মোরসালিনের ওপর বেশ কিছু ঋণের বোঝা ছিল। ঋণ পরিশোধের জন্যই সে জোনায়েদকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার পরিকল্পনা করে।
হত্যার বিবরণ
গত ১৬ আগস্ট খেলাধুলার কথা বলে জোনায়েদকে জঙ্গলে নিয়ে যায় মোরসালিন। পরে শিশুর টি-শার্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মরদেহ জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে যায়। পরদিন ফিরে গিয়ে লতাপাতা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখে ঘাতক।
শেষ চেষ্টা ও গ্রেপ্তার
২৮ আগস্ট জোনায়েদের মায়ের কাছে ফোন করে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মোরসালিন। একইসঙ্গে জানায়, শিশুকে ফেরত দিলে আরও ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। সেই ফোন কলের সূত্র ধরে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের বক্তব্য
র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড্রন লিডার মো. নাজমুল ইসলাম বলেন,
“আটক মোরসালিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, ঋণের টাকা শোধ করতেই শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। পরে শিশুকে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে দেয়।”