পাটগ্রামে মানব-কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজসেবা ও সামাজিক উন্নয়নের কাজেই ফুটে উঠেছে
মোঃ ফেরদৌস আলম
পাটগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
মানব-কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাটগ্রাম উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয় (২০২৪)সালে। নতুন কমিটি তৈরি করা হয়। মোট সদস্য ৫৩ জন। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কাজে অংশ গ্রহণ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
মানব-কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজ সমাজকে উপকৃত করার জন্য পরিবেশগত উন্নয়ন, রক্তদান,ব্লাড ক্যাম্পিং, বৃক্ষরোপণ,অসহায় মানুষদের আর্থিক সহযোগিতা, শিক্ষাদান, স্বাস্থ্যসেবা, মাদকবিরোধী অভিযান, এবং জরুরি দুর্যোগ মোকাবিলা সহ বিভিন্ন ধরনের ভালো কাজ করে থাকে। এসব সংগঠন মানুষের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করে, তরুণদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করে এবং সমাজের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।
সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠাতা, উপদেষ্টা, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কার্যকরী সদস্যদের নিয়ে।
মানব-কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মূল লক্ষ্যেঃ
গাছ লাগানো এবং পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
বিপন্ন পশুপাখি ও বাস্তুসংস্থান রক্ষা করা।
পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা।
শিক্ষাদানে সহায়তা করা এবং যারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।
মাদক, স্বাস্থ্য বা সামাজিক সমস্যা নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা।
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের জন্য কাজ করা।সমাজের দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো।অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য জরুরি উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া।
মানুষের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করা।
তরুণদের ভালো কাজে যুক্ত করে তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানো।
সমাজের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা মাজের বিভিন্ন সেবা ও বিনোদনমূলক কাজে অংশ নেওয়া।
মানব-কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভপতি মোঃ ফেরদৌস আলম বলেন,
আমাদের সংগঠন এর পাশাপাশি আর বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতেছে যেমন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন আমাদের মত করে যদি প্রতিটি পরিবারে যদি একজন করে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি হয়।
তাহলে আর সমাজে প্রতিহিংসা থাকবে না।
বরং সমাজের উন্নয়ন হবে, দেশগুলো উন্নয়নে ভরে যাবে, অসহায় দরিদ্র মানুষ গুলো আর কষ্টে থাকবে না।
এবং তিনি আহ্বান জানান, প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গড়ে উঠতে
তাহলে আর সমাজে বিশৃঙ্খলা থাকবে না,
বরং উন্নত সমাজ গঠন সম্ভব হবে।”