নিয়মনীতি উপেক্ষা করে স্কুল ব্লিডিং এ প্রাইভেট পড়াচ্ছেন শিক্ষক অভিযোগ এলাকাবাসীর
নওগাঁ প্রতিনিধি:
শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে স্কুলে প্রাইভেট পড়ানো বা কোচিং ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু বাস্তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে গোপাল পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.শামিম হোসেন সরাসরি স্কুল কক্ষেই শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষার পরিবেশ যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের উপর পড়ছে বাড়তি আর্থিক চাপ পড়ছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী
২৬শে আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ৭.৫০ মিনিটে স্কুলে দেখা যায় শিক্ষক না আসলেও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে এসে স্কুলের রুমে কিছু শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছিলো আর কিছু শিক্ষার্থী মাঠে খেলাধুলা করছিলো।সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের সকালে থাকার কারণ জানতে চাইলে সকল শিক্ষার্থীরা বলেন শামিম স্যার আমাদের প্রাইভেট পড়াতে আসবে।তাই আমরা এসেছি।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষকরা কোনোভাবেই স্কুল প্রাঙ্গণে বাণিজ্যিকভাবে টিউশন করাতে পারবেন না। তবে এই নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে সমস্যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে।
প্রাইভেট পড়তে আসা শিক্ষার্থী রা বলেন,আমরা সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে সাড়ে ৮ টার পর্যন্ত প্রাইভেট পড়ি।আমাদের প্রতি মাসে ৩শ টাকা দিতে হয়।
ঐ গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর বলেন,দীর্ঘ দিন এলাকার বাহিরে ছিলাম এই দেশে আইছি ১ বছর হলো।এই ১ বছর ধরেই আমি দেখতেছি পরিপূর্ণ ভাবেই তারা সময় মতই প্রাইভেট পড়াচ্ছে।
ঐ গ্রামের আর এক বাসিন্দা মুনির হোসেন বলেন,বহু দিন থেকেই এই স্কুলে প্রাইভেট পড়ায়।
অভিভাবক সমাজের দাবি, স্কুলভিত্তিক প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করতে হলে প্রথমে ক্লাসে শিক্ষাদানের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।শিশুদের শিক্ষা বাণিজ্যের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে, এবং শিক্ষকদেরও নৈতিকতার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শামিম বলেন,আপনারা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে তাদের মন্তব্য নিয়েছেন,আপনাদের টাকা দেইনি বলেই এই সব করছেন।সাংবাদিক টাকা চেয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে গিয়ে হুমকির সুরে বলেন আপনি নিউজ করেন আমি আপনার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার,
মো.মোহসিনুর রাহমান বলেন,কেহ প্রাইভেট পড়াই কিনা এটা আমার জানা নেই। তবে স্কুল টাইমে বা স্কুল টাইমের পরে শ্রেণী কক্ষ ব্যবহার করে পড়ানোর কোন নিয়ম নেই। আমাদের কাছে যদি ইনফরমেশন আসে যে টাইমের বাহিরে কেহ প্রাইভেট পড়াচ্ছে সেই ক্ষেত্রে আমরা খোঁজ নিবো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো আমিরুল ইসলাম বলেন,এই বিষয়ে আমি জানিনা কিছু।যদি তারা আলাদা পড়াতে চায় তার জন্য কোন আইনে নেই তবে স্কুলে প্রাইভেট পড়ানো যাবে না।পরবর্তীতে তিনি ঢাকায় মিটিং আছে বলে ফোন কেটে দেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম বলেন,স্কুলে প্রাইভেট পড়ানোর কোন নিয়ম নেই। তবে বিষয়টি আমি দেখতেছি।