ঝিনাইদহ শৈলকুপায় চাচীর ঘরে পরকীয়া করতে যেয়ে বটির কোপে গোপনাঙ্গ হারালেন ভাতিজা সজল।
মোঃ সুরুজ -ঝিনাইদহ সংবাদ দাতা
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) গভীর রাতে ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। চাচীর ঘরে গভীর রাতে জর করে ডুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চাচির বটি দিয়ে গোপনাঙ্গে কোপ দিলে আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়, তিনি ঐ গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে সজল হোসেন তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের শৈলকুপা উপজেলা ডিগ্রি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
চাচি কল্পনা খাতুন (২৭) ঐ গ্রামের গার্মেন্টেস কর্মী সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী। তাদের ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও ছয় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাজ্জাদ এর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সজল এর সাথে , সাজ্জাদ এর স্ত্রী কল্পনা খাতুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল, দুই সন্তানের জননী কল্পনা খাতুন ভাতিজা সজল হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক বিষয়টি জানা জানি হওয়ায় গত বছরের নভেম্বর মাসে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন স্বামী। পরে ঐ পরকীয়া প্রেমিক সজলকে বিয়ের দাবি করেন ওই গৃহবধূ। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ থেকে শুরু করে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে চাচিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় ভাতিজা। এর কিছুদিন পর পুনরায় আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর।
জানা গেছে, গত ৬ মাস আগে বিয়েও করেন সজল মঙ্গলবার গভীর রাতে চাচি কল্পনা খাতুনের ঘরে হটাৎ ঢুকে পড়ে সজল অনৈতিক কাজে জর করলে ঘরে থাকা বটি দিয়ে সরিলে কোপ বসিয়ে দেয় ঐ গৃহবধূ। এতে গোপনাঙ্গ কেটে যায়। পরে সেখান থেকে পালিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গোপনাঙ্গতে ছয়টি সেলাই দিয়েছে চিকিৎসক।
গৃহবধূ কল্পনা খাতুন বলেন, তার স্বামী তাকে তালাক দেওয়ার পরে সজল হোসেনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিলনা। মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎ ঘরে ঢুকে জোর করে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছিল। নিজেকে বাঁচাতে তিনি ঘরে থাকা বটি হাতে তুলে নেয় এক পর্যায়ে সজল জর করলে আমি তার শরীরে বটি দিয়ে কোপ দিয়েছেন।
কল্পনার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকি, খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে এসেছি। চাচাতো ভাতিজা সজল জোর করে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিল’।
এ বিষয়ে সজল হোসেন বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল এটা অস্বীকার করছি না। আসলে আমি ৬ মাস আগে বিয়ে করেছি। কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি তার কাছে ছিল এটা নিয়ে সে ব্লাকমেইল করছিল। আমার সংসারে অশান্তি লাগাতে আমাকে রাতে ডেকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে,
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান জানান, এমন কোনো ঘটনার অভিযোগ এখন পর্যন্ত থানায় আসেনি। তবে ফেসবুকে খবরটি ভাইরাল হয়েছে দেখেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।