গোপালগঞ্জ জনতা বাইলেনের রাস্তা আ,ট,কে জনদুর্ভোগ, মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ বেল্লাল হোসেন,
গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের জনতা বাইলেন (বিধান স্যারের বাসার গলি) দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খোলা থাকলেও বর্তমানে রাস্তার মুখ দেওয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণকালে ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এলাকাবাসীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, কাজ শেষ হলে এই রাস্তার মুখ খুলে মেইন রোড পর্যন্ত সংযোগ দেওয়া হবে। এমনকি লিখিত ও স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্থানীয়দের কাছ থেকে। কিন্তু কাজ শেষ হলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জনতা বাইলেন এখন কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
জরুরি পরিস্থিতিতে বড় ঝুঁকি
রাস্তা বন্ধ থাকায় কেউ মারা গেলে খাট (মৃতদেহ বহনের খাট) নিয়ে বের হওয়ার সুযোগ নেই। বাইরের রাস্তায় খাট রেখে ভেতর থেকে মরদেহ আনতে হয়। অসুস্থ, গর্ভবতী বা মুমূর্ষ রোগীকে জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। একইভাবে অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস কিংবা বিদ্যুৎ বিভাগের গাড়ি প্রবেশ করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বহু বছর ধরে বঞ্চিত সেবা
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌরসভার সকল প্রকার পাওনা নিয়মিত পরিশোধ করা সত্ত্বেও এই জনতা বাইলেন ও সংলগ্ন হোল্ডিংধারী পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে পানি, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ও যোগাযোগসহ মৌলিক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। বর্ষায় জলাবদ্ধতা, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাহীনতা এবং চলাচলের দুর্ভোগে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
প্রশাসনের নিকট আবেদন
এলাকাবাসী জানান, অতীতে একাধিকবার সাবেক মেয়রদের নিকট লিখিত দরখাস্ত ও অনুরোধ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, পূর্বের মেয়রদের আত্মীয়-স্বজনের স্বার্থ জড়িত থাকায় বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে।
বর্তমানে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের নিকট এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা আশা প্রকাশ করে বলেন—
“মাননীয় মেয়র মহোদয় নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।”
এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি
এলাকার সাধারণ জনগণ একসঙ্গে বলেন,
“আমাদের একটাই দাবি—এই রাস্তাটি দ্রুত খুলে দেওয়া হোক। পৌর কর্তৃপক্ষ সরেজমিন তদন্ত করে আমাদের দুর্দশা দূর করবে, এটাই প্রত্যাশা