গত ২৫ আগস্ট সোমবার সকাল দশটার দিকে বন্দর থানাধীন চাঁদপুরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতের নাম নুরজাহান, সে ওই এলাকার মৃত শাহে আলম সেলিমের স্ত্রী।
বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় সে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত সূত্রে জানা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিধবা নারী নুরজাহান ও তার পরিবারদের জমি নিয়ে প্রতিবেশী মৃত আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি কবির হাওলাদারের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
কবির জোরপূর্বক ভাবে বিধবা নারীর জমি জবরদখল করার চেষ্টা চালায়। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে হাজত বাস খাটতে হয় কবির কে। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিধবার ছেলে ও তার পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। কবির একজন এলাকার ভূমিদস্য, তিনি নিজেকে আ'লীগ নেতা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তাক লাগিয়ে চাঁদপুর এলাকায় বিভিন্ন ও অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে এমনটাই অভিযোগ করে হাসপাতালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বিধবা নারী নুরজাহান। তিনি আরো জানেন, নুরজাহানের ছেলেমেয়েরা কেউ বাড়িতে থাকে না। যে সুযোগে তার ওপর জুলুম অত্যাচার আরো বেশি করছে প্রতিপক্ষরা। কবিরের রয়েছে একটি নিজস্ব সন্ত্রাসী- বাহিনী। নিজেকে তিনি ভদ্রবেশির আড়ালে ঢেকে রেখে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন পূর্বে প্রতিপক্ষ কবির বিধবা পরিবারের মামলায় জেল হাজত থেকে বাঁচতে আদালতে মুচলেকা দিয়ে পার পেয়ে যায। পরে আবার পূর্বের শত্রুতা জাগিয়ে তোলে বিধবা ও তার পরিবারকে ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ঘটনার দিন গত সোমবার সকাল দশটায় কবির ও তার সহযোগী জিহাদ খোকন,রাসেল সহ কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টায় বিধবা নারী নুরজাহানের ছেলে মামুনকে বাসায় খুঁজতে আসে। তাকে না পেয়ে একপর্যায়ে বিধবা নারী নুরজাহানকে নির্যাতন- হামলা চালিয়ে তারা গুরুতরভাবে আহত করেন।
এই ঘটনায় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।