বগুড়ায় দোকান জবর দখলের প্রতিবাদের সংবাদিক সম্মেলন
জিহাদ কাজী
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি
বগুড়া শহরের ঝাউতলার সংলগ্ন বছিরন মার্কেটের নিচ তলায় মরহুম লিয়াকত আলী প্রামানিক কর্তৃক ভাড়া নেয়া তিন নং দোকান ঘরে বিবাদী কর্তৃক বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় তালা লাগিয়ে জবরদখল করে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী এক মহিলা।
ভুক্তভোগী আফরোজা বেগম জানান,
গত. ১৪-৮-৮৪ তাং মোতাবেক বাংলা ১৩৯১সন১৯শে শ্রাবণ তারিখে বাদী মোহাম্মদ লিয়াকত আলী প্রামানিক দ্বিতীয় পক্ষ এবং মোঃ শাজাহান আলী মন্ডল প্রথম পক্ষ হিসেবে একটি ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র সম্পাদন করিয়া ঝাউতলা বছিরণ মার্কেটের নিচতলায় সাবেক ১৫নং লাইনের ১৫নং হালে সংস্কারান্তে ৩নং দোকান হিসেবে দ্বিতীয় পক্ষ ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রাপ্ত হয়।
১ পক্ষ নালিশি দোকান ঘরের মালিক হিসেবে মাসিক ৩০০ টাকা হারে ভাড়া বন্দোবস্ত করিয়া পাওয়ার পর বৃদ্ধিসূত্রে উহার পরিমাণ পরে মাসিক ৮০০ টাকায় উন্নত হয়।
কিন্তু উক্ত পরিমাণ ভাড়ার টাকা মালিক গ্রহণ করিতে সম্মত না হয় দ্বিতীয়পক্ষ ভাড়াটিয়া বাদি হইয়া দেওয়ানি হাউস রেন্ট কন্ট্রোল আদালতে যথারীতি জমা দিয়ে আসিতে থাকে।
ইতিমধ্যই লিয়াকত আলি প্রামানিক মারা গেলে আমি স্ত্রী আফরোজা বেগম ও তিন কন্যা লুবা ফেরদৌসী লুফা ফেরদৌসী এবং লোপা ফেরদৌসী ওয়ারিশ বিদ্যমান রয়েছে এবং আমরা ওই দোকানে কোনক্রমে ব্যবসা দিয়ে পরিচালনা করি আসতে ছিলাম।
পরবর্তীতে ওই দোকান ঘরের মালিক মারা যাওয়ায় তার ওয়ারিশ হিসেবে স্ত্রী মোসাম্মদ তহরীমা বেগম পুত্র তৌহিদুর রহমান তাজ এবং কন্যা সাহলা শারমিন ওয়ারিস বিদ্যমান রহিয়াছে।
পরবর্তীতে বাদী এবং বিবাদীর মধ্য৬/১২পেটি মোকাদ্দমা স্থাপিত হবার ভিত্তিতে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ প্রক্রিয়া পরিচালিত হইয়া আসছে। মোকাদ্দামাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে বিবাদী ১৬-১১-২০২৪ ইং তারিখে একটি দরখাস্ত বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করিয়া উক্তি করে যে অত্র মোকাদ্দমা চালাইবার তাহার কোন অবশ্যকতা না থাকায় প্রত্যাহার করিয়া নেওয়া অবশ্যক হইতেছে। দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত আদালত মোকাদ্দামাটি বাদী পক্ষের প্রার্থিত মতে প্রত্যাহার সূত্রে নিষ্পত্তি করা হইল মর্মে আদেশ দেন।
মোকদ্দমাটি প্রত্যাহার করার পরে বিবাদী গত ২৯-৭-২৫ ইং তারিখে বেলা ১১ঃ১৫ মিনিটের সময় তহিদুর রহমান তাজ কতিপয় আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জনের দলবল নিয়ে দোকানের সমস্ত মালামাল বাইরে ফেলিয়া দেয় এবং ঘরে তালা দেয় দোকানের ভেতরে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট করে এবং নগদ এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আমার বর্ণিত ওয়ারিশগণ অতি কষ্টে ব্যবসা ও সংসার চালিয়ে আসাকালীন আমাদের দোকান জবরদখল করার কারণে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে পড়েছি আমরা এবং বর্তমান বগুড়ার শহরে আমাদের উপার্জন করার মত অন্য কোন পথ না থাকায় নিদারুণ দারিদ্রতায় পতিত হইয়া মানবতার জীবন যাপন করিতেছি।
এমন সংকটে প্রতিকার পাইতে হকদার অধিকারী হইয়া আপনাদের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। অন্যথায় চরম সংকটে আমাদের প্রাণহানির সম্ভাবনা রহিয়াছে।