ঢাকার উত্তরার ১০ নং সেক্টর সুইস গেইট সংলগ্ন "বৃহত্তর উত্তরা বিসমিল্লাহ পাইকারি কাঁচা বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ", রেজি নং - ০০৩৭৮, দীর্ঘদিন যাবত ফলের আড়তের পাইকারি ব্যবসা সুনামের সহিত পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন ফলের আড়তের মালিক সমিতির সদস্যরা। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই বিসমিল্লাহ কাঁচা বাজারে বিষধর সাপের ন্যায় মরণ ছোবল বসায় চা বিক্রেতা থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠা যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন (চিশতি)। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র হত্যাসহ অসংখ্য মামলার আসামি এই আনোয়ার হোসেন (চিশতি), ৫ই আগস্ট, ২০২৪ পরবর্তী আওয়ামী খোলস পাল্টিয়ে আবার চাঁদাবাজিতে সক্রিয় হয়ে উঠে। ছাত্রহত্যার আসামি আনোয়ার হোসেন (চিশতি) জেল থেকে বের হয়ে বিসমিল্লাহ কাঁচাবাজারের দখলে নিতে আবার মরিয়া হয়ে ওঠে। বিভিন্ন প্রতিবাদ, মানববন্ধন ও পোস্টারিং এর পরেও প্রশাসনের নাকের ডগায় আনোয়ার চাঁদাবাজির ভয়ার্ত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
চাঁদাবাজির এই ভয়ানক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আনোয়ার আবুল বাশার ও বাবলু ভুইয়া কে ফলের আড়ত থেকে টাকা উঠানোর জন্য স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিক করে চুক্তিনামা করে দেয়। আবুল বাশারের ছেলে রিয়াজ তার বাবার নামে চুক্তিনামা করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন এবং এই ক্ষমতা বলেই রিয়াজ বাজার থেকে টাকা উঠান। রিয়াজ মূলত ছাত্রলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ক্যাডার, গণঅভ্যুত্থানের সময় খোলস পাল্টিয়ে ছাত্র-সমন্বয়ক সেজে বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। আবার আনোয়ার দুই মাস পরে আবুল বাশার ও বাবলু ভূঁইয়ার চুক্তিনামা বাতিল করে তার স্ত্রীকে একইভাবে টাকা উঠানোর জন্য চুক্তিনামা বলে পাওয়ার করে দেয়। আনোয়ার আবুল বাশার, বাবলু ভূঁইয়া মোহাম্মদ রাব্বি, সেলিম সহ আরো ১০/১৫ জন চাদাবাজ ও তার স্ত্রী ছাড়াও আরো একাধিক জনকে চুক্তিনামা করে এরূপ পাওয়ার করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ব্যক্তিকে পাওয়ার করে দেওয়ায় ও বাতিল করায় ফলের আড়তের ব্যবসায়ীদের একাধিক জনকে টাকা প্রদান করতে হচ্ছে এবং এরূপ চাঁদাবাজিতে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
চাঁদাবাজির ভয়ার্ত কবল থেকে মুক্তির জন্য বিসমিল্লাহ কাঁচা বাজার মালিক সমিতি- এর সভাপতি মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন বিজ্ঞ আদালতে সকল ফল আড়ত ব্যবসায়ীদের পক্ষে বিসমিল্লাহ কাঁচাবাজারের ১৭৭ জন ব্যবসায়ীর আনোয়ারের কাছ থেকে পাওনা ২০ কোটি টাকা আদায়ের জন্য মামলা করেন, মাননীয় বিজ্ঞ আদালতে এ মামলা এখনো চলমান। ফলের আড়ত ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান, আদালতে মামলা চলাকালীন অবস্থায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টের চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিভাবে চুক্তিনামা বলে তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছে। এ বিষয়ে ফল আড়ত মালিক সমিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা সহ মাননীয় বিজ্ঞ আদালতের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।