গফরগাঁও জেএম কামিল মাদ্রাসায় উপস্থিত না থেকেও বেতন ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের নামে।
স্টাফ রিপোর্টার
আদিলুর রহমান আদিল
গফরগাঁও ময়মনসিংহ
গফরগাঁও জেএম কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখ হতে অধ্যবধি পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। তার এই পলায়ন ও দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর ও উদ্বেগজনক।
তার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও, দায়িত্বপ্রাপ্ত মাদ্রাসা কমিটির সাথে একটি চুক্তির মাধ্যমে মাদ্রাসার বেতন-ভাতার অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উক্ত চুক্তি অনুযায়ী, বেতন-ভাতার ৫০% অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের জন্য এবং বাকি ৫০% মাদ্রাসা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের জন্য উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই কাজটি একটি সাংগঠনিক দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের শামিল।
এছাড়াও, গত ৪ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে গফরগাঁও বাজারে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ভোট বিহীন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, সাবেক এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের নির্দেশে একদল অস্ত্র দাড়ি দ্বারা একটি প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়ার ঘটনা ঘটে, যেখানে অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
গফরগাঁও উপজেলার সাধারণ জনতা ও মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট সকলের সকলে আবেদন করেন এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। সাবেক এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের দক্ষিণ হস্ত লেবাস দারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আতাউর রহমানকে তার সকল অনিয়মের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা এবং তাকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দাবি। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন
আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ করছি।আইনের আওতাই এনে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক