ময়মনসিংহ জেলার, ভালুকা উপজেলার, হাতিবেড় গ্রামে গড়ে উঠেছে রেপটাইলস কুমিরের প্রজনন খামার
মোঃ মাহবুবুল আলম, বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহ।
হাতিবেড় গ্রামে ২০০৪ সালে ১৩ একর জমির উপর যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠে এশিয়ার বৃহত্তম কুমির প্রজনন খামার। প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়া থেকে ৭৫ টি কুমির এনে এখানে খামারটি শুরু করা হয়। ২০০৬ সালে প্রথম ডিম থেকে বাচ্চা হয় এই খামারে। বাড়তে থাকে কুমিরের সংখ্যা। খামারটি দেখার জন্য বাড়তে থাকে দর্শনার্থীর ভীড় ।বয়স্কদের জন্য দেড়শ টাকা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয় টিকিটের মূল্য।
সরিসীপ আকারের এই প্রাণীটি সাধারণত মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে। ২০১০ সালে প্রাথমিকভাবে ৬৭ টি কুমির রপ্তানি করে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় করা হয়।২০১২ সালে খামারের একক মালিকানা নেন পিকে হালদার। খামারটি দেখিয়ে বিভিন্নভাবে ঋণ গ্রহণ করতে থাকেন তিনি।২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তোমাদের সংখ্যা দাঁড়ায় চার হাজারে। এ সময় ১৫০৭টি কুমিরের চামড়া জাপানের রপ্তানি করে আয় করা হয় প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। বর্তমানে খামারটি পরিচালনা করছেন ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা কমিটি। সঠিকভাবে যত্ন নিলে এই খামারের কুমির ও দর্শনার্থীদের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এই খামারের প্রতি কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করেন এলাকার মানুষ। যাতে করে অর্থ আয়ের এই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র অচিরেই ধ্বংস হয়ে না যায়।