খাল দখল করে পুকুর তৈরি
টিপির বিলে ৮ গ্রামের কৃষকের ৩০০০ বিঘা ফসল বিনষ্ট
মালিকুজ্জামান কাকা
ঐতিহ্যবাহী টিপির বিলে অবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আট গ্রামের কৃষি পরিবার। ঝিনাইদহ জেলার মহেশ পুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নে সঙ্গত কারণে এই মুহূর্তে হতাশা আর দুর্দশা চরমে।
মান্দার তলা, আলিপুর, কালিপুর, খড়ে মান্দারতলা জাগুসা, হাবাসপুর, দেরেপুর, হুদো, নোয়ানিপাড়ার কৃষকের অন্তত ৩০০০ বিঘা ফসলের সিংহ ভাগ এখনো পানির নিচে।
কলাডেলের খাল বে দখল হওয়ায় কৃষকের এই ভোগান্তি। স্থানীয়রা জানান খালে অন্তত অর্ধ শত পুকুর তৈরি করা হয়েছে। এর সবই বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তৈরিকৃত। ফলে খাল দিয়ে আর টিপির বিলের পানি বের হচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা ও জানা যায়, জাগুসার ফারাজী, আলিপুরের মুক্তার, রবিউল, কালিপুরের শহিদুল, খড়ে মান্দারতলার মোমিন, কালিপুরের আমজাদ, অর্ধ শত পুকুর, ডোবা গড়ে সেখানে মাছ চাষ করছে। তৃতীয় বৃহত্তম বিলটি আজ তাই চরম অস্তিত্ব সংকটে।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, মৌজা মান্দার তলা ৯৩নং ইদ্রাকপুর, খড়ে মান্দার তলা, জাগুসা ও দেরে পুর মৌজায় বিলটির বেশিরভাগ জমি বিদ্যমান। এটি ফসল উৎপাদনে অন্যতম স্থানীয় একটি বড় চাষ ক্ষেত্র।
১০ নং নাটিমা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার কৃষক বোরহান উদ্দীন জানান বিলের জমির চাষাবাদ কৃত শত শত বিঘা ড্রাগন, পেয়ারা, মাল্টা, তরি তরকারি শেষ। ধান আগেই ডুবে গেছে।
মান্দারতলার কৃষক উজ্জ্বল জানান, ১০ বিঘা আমন স্বর্ন, প্রতীক ধান ডুবে গেছে। এই মৌসুম শেষ।
মান্দারতলার কৃষক মামুন মন্ডল জানান, ১৫ বিঘা ধান ডুবে শেষ। একই গ্রামের ইসরাইল ৫ বিঘা ধান ডুবে শেষ। দুর্গাপুর মান্দার তলার জান আলীর পেয়ারা ও ধান ডুবে গেছে।
মান্দার তলার বাবু মাস্টারের ১০ বিঘা ধান ডুবে গেছে।
মাস্টার রেজাউলের ১৫ বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে এবার ফলন শুন্য দশায়।
কৃষক জানান, এ পর্যন্ত কোন সরকারি কর্তা তাদের খয়ক্ষতির কথা শুনতে বা জানতে আসেনি। তাদের দুর্দিনে কোন সহায়তা কেউ সামান্যও করেনি। এ কারণে হতাশা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা অবিলম্বে কলাডেলের খালটি দখল মুক্ত করে অবাধ পানি নিষ্কাসন চালুর জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।