দূনীতির দায়ে রামুতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বরখাস্ত
এম কে হাসান
বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের জোয়ারিয়ানালা হাজী মোহাম্মদ সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের পলাতক প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক ও সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) সাজেদা বেগমকে নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজিজুল হকের বরখাস্তের আদেশ এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেহেতু আপনার বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে - ১। আপনি ২৯/০৯/২০২৪ থেকে বিদ্যালয়ে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত আছেন । ২। ১৮/০৩/২০২৫ তারিখে জেউবি-৫৪/২৫ স্মারক মূলে, ২৯/০৪/২০২৫ তারিখে জেউবি-৬৭/২৫ স্মারক মূলে, ২১/০৫/২০২৫ তারিখে জেউবি-৬৯/২৫ স্মারক মূলে যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় ও চূড়ান্ত বারের মত বিদ্যালয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি ফেরত ও চলমান অডিট কার্যক্রমে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও আপনি হাজির হন নি। ৩। ১৫/০৬/২০২৫ তারিখে রেজাউল করিম সিকদার (রাজু), এডভোকেট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত ।
কক্সবাজার কর্তৃক লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও আপনি তার কোন উত্তর দেন নি জনাব সাজেদা বেগম কে- ক) কাম্য যোগ্যতা( বাংলায় ৩০০ নং) না থাকা সত্তেও আপনি নিয়োগ প্রদান করে এমপিও ভুক্তির আবেদন অগ্রগামী করেছেন ।
খ) বাংলায় নিবন্ধন ধারী হলেও আপনি সামাজিক বিজ্ঞানে নিয়োগ দিয়েছেন।
গ) অতিরিক্ত শ্রেনী শাখায় নিয়োগ দিলেও পরবর্তীতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মূল প্যাটার্নে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিও ভুক্ত করেছেন-
যা ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ প্রণীত, মার্চ ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার সুস্পষ্ট লংঘন।
ক্যাশ বুক ফ্লুইড দিয়ে ঘষা মাজা করেছেন, ক্যাশ গ্রহণের কলাম অসম্পূর্নভাবে সংরক্ষণ করেছেন, তারিখের ক্রমানুসারে সংরক্ষণ করেন নি, এলোমেলো ভাবে কিছু ক্যাশ গ্রহণের এন্ট্রি দিয়েছেন, কোন যোগফলের জের টানেন নি, ক্যাশ বুকের অধিকাংশ কলাম খালি রেখে দিয়েছেন, জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ক্যাশ বুক এ আয় –ব্যয়ের কোন হিসাব এন্ট্রি দেন নি, অনুমোদন বিহীন অসংখ্য বিল ভাউচার তৈরি করে ব্যয় দেখিয়েছেন, বার বার ক্যাশ বুকে ফ্লুইড দিয়ে ঘষামাজা করে প্রকৃত নগদ অর্থের প্রবাহ গোপন করে বিদ্যালয়ের তহবিল আত্মসাৎ করেছেন – যা অডিট ফার্ম হুদা হোসেন এন্ড কোং কর্তৃক নিরীক্ষাধীন আছে।
সেহেতু অদ্য ০৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ৯ম অধিবেশনের ১ নং সিদ্ধান্তের আলোকে সর্বসম্মতিক্রমে আপনাকে সাময়িক বরখাস্ত হল।
সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) সাজেদা বেগমের বরখাস্তের আদেশ এ উল্লেখ করেন যে, যেহেতু আপনার বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে – ১। আপনার কাম্য যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও(স্নাতক পর্যায়ে বাংলায় ৩০০ নং) আপনি তথ্য গোপন করে ২০১২ সালের ৮ম নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন। ২। আপনি বাংলায় নিবন্ধনধারী হলেও সহকারী শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান পদে আবেদন করে নিয়োগ লাভ করেছেন-
যা ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ প্রণীত, মার্চ ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার সুস্পষ্ট লংঘন।
আপনি অতিরিক্ত শ্রেনী শাখার জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও পারস্পরিক যোগসাজশে তথ্য গোপন করে মূল প্যাটার্নে ২০১৪ সালে এমপিও ভুক্ত হয়েছেন যা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০০২.০০১.২০১৪(খন্ড – ১).৭১১. তাং ৩১/১২/২০১৭ এর সুস্পষ্ট লংঘন, সেহেতু ০৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ৯ম অধিবেশনের ২নং সিদ্ধান্তের আলোকে সর্বসম্মতিক্রমে আপনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট আবদুল মাবুদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে উক্ত আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।