দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অ,ভি,যো,গ
সাখাওয়াত হাসান (বিজয়)
দূর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
ভুক্তভোগী আশুরা খাতুন বলেন, এর আগে আমার বিয়ে হয়েছিল গত ৮ মাস হচ্ছে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে, আমি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করতাম, ফারুকের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরে জানতে পারি সেও এর আগে বিয়ে করেছিল, ডিভোর্স হয়ে গেছে, তাই আমরা দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।গত শনিবার সকালে সে আমাকে তাঁর বাড়িতে ডেকে আনে এবং পরে পরিবারের চাপে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে, আমি অসহায় হয়ে পড়েছি এবং এ আসাতেই যে, সে যেখানে থাকুক আমাকে এসে বিয়ে করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভুগী পরিবার জানান, রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার সূর্য্যভাগ গ্রামের আমজাদ আলীর মেয়ে আশুরা খাতুন (২৬) অর্থের লোভে একই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে ফারুক হোসেনের বাড়িতে গত ১৬ আগস্ট বিয়ের দাবীতে অনশনের নাটক শুরু করে। এই মেয়ের মাধ্যমে অর্থের জন্য এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারীরা যোগ দিয়ে হুমকি প্রদান করছে ভুক্তভোগী পরিবারকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানান, ফারুকের বিয়ে ঠিক করা হলে এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফজলু, রিয়াজুল, গোলাম মোস্তফা, হেলাল, মেয়ের ভাই ইসাহাক ও আরমান আলী, মেয়ের বাবা আজাদ আলী, মুস্তাকিমসহ সকলে মিলে দুই বাচ্চার মা আশুরা খাতুনকে গত শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করিয়ে থাকে।
আমরা তাদের আচরণে ভয় পেয়ে তাদের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে তারা বলে নগদ দুই লাখ টাকা আমাদের দিলে আমরা আর সমস্যা করবোনা, না হলে আমরা ফারুকের সাথে তোমাদেরও খবর করে দিবো। আমাদের পক্ষ থেকে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরে আমরা আর ফারুককে খুজে পাইনা। দূর্গাপুর থানায় গিয়ে আমরা আইনগত সহযোগিতা চাইতে গেলে থানার গেট থেকে মেয়ের ভাইসহ এই সকল দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের ভয় দেখিয়ে ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের পরিবারের সকল কে নানান ভাবে হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। আমরা আইনের সহযোগিতায় মুক্তি চাই। আমাদের পক্ষে যেহেত্যু টাকা দেওয়া সম্ভব নই, তাই আইনের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের যেকোন সময় এই বাহিনীরা প্রাণে মেরে ফেলবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছেলের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মেয়ের বংশের অনেকেই একাধিক বিয়ে ছাড়াও মানুষকে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে থাকে। এবার তাদের নজর পড়েছে আমার শ্বশুর বাড়ির দিকে। তারা টাকার জন্য আমার শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেককে হুমকি দিচ্ছে। আমার ছেলেকে তারা মেরে ফেলছে কিনা, তাও আমরা বুঝতে পারছিনা। এখন আইনগত বিশেষ পদক্ষেপের জন্য আমরা আকুল আবেদন করছি।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।