অপরিকল্পিত (অবৈধ) বিদ্যুৎ সংযোগ কেড়ে নিল বাবুল মিয়ার প্রাণ
মোঃ মিনার হোসেন খান, স্টাফ রিপোর্টার : পলাশ (নরসিংদী)
নরসিংদীর পলাশে অপরিকল্পিত (অবৈধ) বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে মোঃ বাবুল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
২১ আগস্ট ২০২৫ রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ পাইকসা এলাকার তানজিরুল ইসলাম রনি মিয়ার বালুর গদির সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলটি শাহ সিমেন্ট কোম্পানি ভাড়া নিয়ে অফিস ও কর্মচারীদের থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উক্ত স্থানে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে (অবৈধ) বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ওই সংযোগের কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বাবুল মিয়া।
ঘটনার পর পরই ঘোড়াশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিদ্যুতের মিটার ও তার খুলে নিয়ে যান। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও প্রশ্ন উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে।
এ বিষয়ে ঘোড়াশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জানান, “মিটারটি বৈধ ছিল। তবে মিটারের সাইড লাইন দিয়ে একাধিক সংযোগ থাকার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।”
অন্যদিকে শাহ সিমেন্টের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, “ঘটনাটি তদন্তাধীন। তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা যাবে না।”এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জালাল বলেন, “শাহ সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের ট্রিপল নাইনে কল দেওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করি এবং মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।”
হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাবুল মিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
সমালোচনা হচ্ছে – অপরিকল্পিত অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের দায়ভার কার? পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, নাকি শাহ সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ—আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত শেষে এর জবাব মিলবে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষ।