এই বিশেষ দোয়া এবং মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোঃ মোরসালিন, উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি দলের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, সীতাকুন্ড উপজেলা সাধারণ সদস্য সচিব মোঃ মহিউদ্দিন, সীতাকুণ্ড উপজেলা সাবেক সদস্য সচিব চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সংগ্রামী সদস্য জহুরুল আমিন জহুর, সীতাকুন্ড পৌর বিএনপির সদস্য সচিব সালেহ আহমদ, সীতাকুন্ড উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন দুলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আবুল মনসুর, আরো উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেকটা ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়নের সকল দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা।
এই সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ৪ আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও বিএনপি'র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লায়ন মোঃ আসলাম চৌধুরী (এফসিএ) তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে ত্যাগ স্বীকার করে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন সারা বাংলাদেশে আপনাদের সীতাকুণ্ডের নামটা সবাই উচ্চারণ করতে বাধ্য হয়েছে বিগত ১৩ সালের আন্দোলনে। আজকের এই মুক্ত আকাশে নিঃশ্বাস নেওয়ার যেই আনন্দটুকু এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব এবং সফলতা সম্পূর্ণ আপনাদের।
আপনাদের সেই সফলতার কারণে তিনদিন পরপর সেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সংসদে আমার নাম নিয়ে বলছে আসলাম চৌধুরী এটা কে এবং একইভাবে আমাকে তখন বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়াগুলো শুরু হয়। এবং আমার ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে আমি শুধু না আমাদের প্রতিটি মানুষের কষ্ট তো আছেই আমার চেয়ে অনেকের বেশি আমাদেরকে একদম পারিবারিক ভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমাদের বাড়ির সমস্ত পুরুষের নামে মামলা দিয়েছে। একইভাবে যারা আমাদের একই আদর্শে বিশ্বাসী সবার বাড়িতেও একই রকম প্রক্রিয়া চালিয়ে ছিল। ধারাবাহিক ভাবে নির্বাচন হলো তবে এ নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে যায়নি।
ওই নির্বাচনে ৪ থেকে ৫% ভোট পড়েছে সেটাকে তারা বৃদ্ধি করে ৪০ পার্সেন্ট দেখিয়ে সেই ফ্যাসিস্ট সরকার ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। সেই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দলীয় দুর্বলতা হলো আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দুর্বলতা রয়েছে বলে আমি মনে করি। কারণ আমরা যেভাবে আন্দোলন করেছি তখন সারা বাংলাদেশকে অচল করে দিয়েছি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আমরা জাতীয় ভাবে ম্যানেজ করতে পারিনি। যদি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা ম্যানেজ করতে পারতো সেই ২০১৩ সালেই এই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হতো লায়ন আসলাম চৌধুরী (এফসিএ)এর বক্তব্যের পর বিশেষ মিলাদ কিয়াম ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে এই কার্যক্রম সমাপ্তি হয়।