1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গাজিপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত আকস্মিক ভাবে এনসিপির ১৫ নেতার পদত্যাগ  হরিণাকুন্ডুতে ২০ই আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়েছে টাইফয়েড টিকাদান অভিযান ২০২৫ পবিপ্রবি নির্মাণাধীন হল থেকে রড চুরির অভিযোগে দুজনকে আটক টাইফয়েড টিকাদান অভিযান ২০২৫ ধনবাড়ী উপজেলা ও পৌর সেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন পোশাক শিল্পে অর্ডার কমে যাওয়ার কারণে বেড়েছে সংকট এক বছরে ২৬ কি পোশাক কারখানা বন্ধ, কর্ম হীন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে ৪৫ তম স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে রেলি ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির ৬নং ওয়ার্ড কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত,

নিঝুমদ্বীপে চরমোনাইপন্থি ইসলামি যুব আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রী ধ,র্ষ,ণে,র অভিযোগ

রিয়াজুল ইসলাম, 
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

রিয়াজুল ইসলাম, 

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষক শাহেদুল ইসলাম (পিতা: আবুল কালাম)-এর বিরুদ্ধে এক তরুণীকে জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে সামাজিক চাপের মুখে উভয় পক্ষের সমঝোতায় ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম ইসলামি যুব আন্দোলনের ইউনিয়ন সদস্য। একইসঙ্গে তিনি নামার বাজার মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং নিকটবর্তী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী মেয়েটির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

ঘটনার দিন শাহেদুল ইসলামের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় তিনি কৌশলে মেয়েটিকে মাদ্রাসা থেকে ডেকে নিজের বাসায় নিয়ে যান। এরপর টানা তিনদিন ধরে জিম্মি করে মেয়েটিকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন (ধর্ষণ) করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনদিন পর মেয়েটি বাসায় ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তার অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান। প্রথমে মেয়েটি বান্ধবীর বাসায় থাকার কথা বললেও পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, স্থানীয় মুয়াজ্জিন তাকে জোরপূর্বক আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন।

ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে নামার বাজার মসজিদে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ধর্মীয় দায়িত্বে নিয়োজিত একজন মুয়াজ্জিন ও শিক্ষক যদি এ ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িত হন, তবে তা সমাজের জন্য ভয়াবহ দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। অনেকেই মনে করছেন, সামাজিক চাপের কারণে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও এটি আইনি বিচারের আওতায় আনা জরুরি।

বর্তমানে এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে পরিবার ও সমাজের চাপে বিয়ের মাধ্যমে আপাত সমাধান করা হলেও অন্যদিকে ন্যায়বিচারের দাবিতে অনেকেই সরব হয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট