বান্দরবানে ভারী বৃষ্টিতে এলজিইডি’র ১২ সড়কে ৪০ স্থানে ভাঙনলামা-সূয়ালকসহ অভ্যন্তরীণ গ্রামীণ সড়কগুলো জনসাধারণের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণতচলাচল ব্যাহত, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে চরম ভোগান্তি
মোঃ আবদুল্লাহ আল-মামুন, জেলা প্রতিনিধি
বান্দরবানে টানা ভারী বর্ষণের ফলে অভ্যন্তরীণ ও গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লামা-সূয়ালক সড়কসহ অন্তত ১২টি সড়কের ৪০টি স্থানে মারাত্মক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াত ও কৃষিপণ্য পরিবহনে মারাত্মক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে রয়েছে—লামা-সূয়ালক, হলুদিয়া-ভাগ্যকুল, বাঘমারা-মঞ্জয়পাড়া, বানিয়াছড়া-গজালিয়া, ইয়ায়ছা-ত্রিদিবা, রুমা-মাওয়াপাড়া, রোয়াংছড়ি-ব্যাঙছড়ি, কালাঘাটা-তারাছা, খানসামা-বাঘমারা আন্তাপাড়া, রুমা-মুন্নমপাড়া এবং ক্যায়ামলং-চেমিরমুখ সড়ক। এর মধ্যে লামা-সূয়ালক সড়কেই পাঁচটি স্থানে বড় ধরনের ভাঙন হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বর্ষার শুরুতেই সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় এগুলো এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে লামা-সূয়ালক সড়কের দুটি স্থানে বড় ভাঙনের কারণে বড় যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এলজিইডি’র জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাসাউর বলেন, “জেলায় এলজিইডি’র আওতাধীন ১২টি সড়কের ৪০ স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি স্থানের মেরামতের জন্য ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন।”
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, সড়ক ভাঙনের কারণে উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে পারছেন না, ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সার্বিকভাবে, দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শুরু না হলে জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও কৃষি অর্থনীতি আরও বড় সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।