রিয়াজুল ইসলাম,
নোয়াখালীর হাতিয়ায় এক প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষিকার অনৈতিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়ভাবে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমাজ ও সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) রাতে চার মিনিট ৫০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং বহু মানুষ তা মোবাইলে ডাউনলোড করে নেন। সোমবার সকাল থেকেই এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিরা হলেন নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব ভাটির টেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল এবং হাতিয়া উপজেলার গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা গুলশান আরা বেগম।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। অথচ তারা এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন এবং তা আবার মোবাইলে ধারণ করেছেন। এই অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তারা শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমাদের সন্তানরা তাদের থেকে কী শিখবে?” একই সঙ্গে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও অভিযুক্তদের শিক্ষকতা পেশা থেকে অপসারণের দাবি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, “এটি শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া জরুরি। তা না হলে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের কাজে জড়াতে দ্বিধা করবে না।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল বলেন, “এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। একটি চক্র আমাকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এ বিষয়ে আমি থানায় একটি জিডি করেছি।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাসিমা হাবীব বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে বিস্তারিত এখনো জানা নেই। আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগও আসেনি। বর্তমানে আমি তিন দিনের ছুটিতে আছি। ছুটি শেষে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”