ফেনীত থানায় জিডি করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার ব্যবসায়ী পুলিশ সদর দফতরে অ,ভি,যো,গ।
মোহাম্মদ হানিফ ফেনী সদর প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
ফেনীত থানায় জিডি করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার ব্যবসায়ী,পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগ।
ফেনীর এক সাধারণ ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম ভূঞা অভিযোগ করেছেন, এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলা ও হুমকির শিকার হয়ে থানায় জিডি করতে গেলে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাস এবং এএসআই এমরান হোসেন তার সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন ও হুমকি দিয়েছেন।
এই ঘটনায় তিনি বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ সিকিউরিটি সেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জাহিদুলের অভিযোগ অনুযায়ী, ফেনী সদরের মাথিয়ার গ্রামের কিছু সন্ত্রাসী—অপু, হাসান, জয়, সামীরসহ ৮-১০ জনের একটি চক্র এলাকায় মদ, জুয়া, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
প্রতিবাদ করায় গত ১৩ আগস্ট রাতে তার মেডিসিন দোকানের দরজায় হুমকি দেওয়া হয়। এই ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করায় ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা দোকানে ঢুকে জাহিদের ওপর হামলা চালায়।
জাহিদুল বিষয়টি ফেনী মডেল থানার এএসআই এমরান হোসেনকে ফোনে জানালে, রাত ৯টার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের বক্তব্য নেন এবং পরামর্শ দেন সকাল হলে থানায় এসে বিষয়টি জানাতে।
পরের দিন, ১৫ আগস্ট সকালে থানায় আসলে এএসআই এমরান বিষয়টি নিয়ে জিডি করার পরামর্শ দেন।
এজন্য জাহিদ লিখিত কপি নিয়ে ডিউটি অফিসারের কাছে যান। এ সময় তিনি জিডি কপিসহ তার গ্রামের দুই ব্যক্তি পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাসের কক্ষে যান।
সেখানে সজল কান্তি দাস ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ ও হুমকি দেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন সজল কান্তি দাস জিডি কপি ছুড়ে ফেলে এবং ডিউটি অফিসারকে বলেন, ‘এন্ট্রি কর, আর এই জিডি গলায় ঝুলিয়ে রাখিস।’
ঘটনার সময় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মাহিম ও গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ খালেক উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদুল বলেন, ‘আমার ছোট জীবনে প্রথমবার থানায় গিয়েছিলাম।
পুলিশ কর্মকর্তাদের এমন আচরণ আমাকে হতাশ করেছে। সন্ত্রাসীদের হুমকি ও হামলার কারণে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এমনকি ব্যবসার ঔষধের দোকানও খুলতে পারছি না।
তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা চেয়ে এবং নিজের ও ব্যবসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সদর দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, মহাপরিদর্শক (আইজিপি), চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এবং ফেনীর পুলিশ সুপার-এর নিকট।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। একজন ভুক্তভোগী থানায় এলে তাকে আইনের সহায়তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।