জমি বিক্রয় করে অস্বীকার করে প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানের উপর অত্যাচার।
নিজস্ব প্রতিবেদন।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রবাসীর নিকট জমি বিক্রয় করে সেই জমি অবৈধভাবে দখলের অপচেষ্টা ও প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানের উপর অত্যাচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। (১৩ আগস্ট) বুধবার নান্দাইল পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড ভুইয়াপাড়া (বন্দেরবাড়ী) সাকিনের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আল-আমিনের পরিবারের উপর এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী আলামিনের স্ত্রী ময়না আক্তারের ভাসুর শাহজাহান ও জ্বা-ফাহমিদাদের দ্বারা মারাত্মকভাবে অত্যাচারিত হয়ে আসছে। সরজমিনে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনদের নিকট জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, বিগত ৫ বছর পূর্বে ময়না আক্তারের ভাসুর বর্তমান গ্রিস প্রবাসী ফরিদ সরকারের নিকট হতে- ৩৪১৪ নং দলিলমূলে সাড়ে ৫১ শতাংশ জমি সাফ কাওলা হিসেবে ক্রয় করে। ইহা ছাড়াও ২২ শতাংশ জমি বিক্রি করে সাকুল্য টাকা গ্রহণ করে ইং ১৫/০৯/১৯ তারিখে বায়নাপত্র দলিল করে দেন। যাহা ভুক্তভোগী দীর্ঘদিন যাবত বসত বাড়ি ও ফসলি জমি ভোগ দখল করে আসছেন। এখন গ্রীস প্রবাসী ফরিদ এই জমি বিক্রয় করে নাই বলে অস্বীকার করেন এবং বাড়িতে থাকা তার ওপর ভাই শাহজাহান ও ফরিদের স্ত্রী ফাহমিদা মিলে ভুক্তভোগী ময়না আক্তার কে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতেছে।
এমনকি তাহারা জমি দখলের উদ্দেশ্যে হুমকি-ধমকি ও মারধর করতে উদ্যত হয়। এই বিরোধ সৃষ্টি করে আল-আমিনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করতেছে। আল-আমিনের স্ত্রী ময়না আক্তার জানান যে, তার একমাত্র পুত্র সন্তান আয়মান(৭) কে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসতেছে। এতে করে তিনি জান-মালের নিরাপত্তাহীন আছেন বলে অভিযোগ করেন।
গ্রীস প্রবাসী ফরিদ সম্পর্কে এলাকার অনেকেই অভিযোগ করেন যে, বিগত ৫ বছর পূর্বে ফরিদ বিদেশে লোক পাঠানোর জন্য অনেকের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেছে। এ সকল লোকজনের টাকা মেরে ও জমিজমা বিক্রি করে ফরিদ সরকার গ্রীসে চলে যায়। এখনো ফরিদের নিকট পাওনা টাকার জন্য লোকজন ফরিদের খোঁজ নিতে আসে।