মোঃ মানিক মিয়া,
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার অন্তর্গত বিসিক শিল্পনগরীর দুই নং গেটে অবস্থানরত একটি স্বনামখ্যাত ফ্যাক্টরী অবন্তী কালার টেক্স লি (ক্রোণী গ্রুপ)যার নাম শুনলেই বর্তমানে শ্রমিকের শরীরের লোম শিহরিয়ে উঠে।
এই ফ্যাক্টরিতে যারা চাকরি করেছিল তারা আজকে অনেকে অসহায় এবং পথের ভিখারিতে পরিণত হয়েছে।
শ্রমিকরা বলত আমরা বেতনের জন্য চাকরি করি আমরা যদি সময়মত বেদনাদি না পাই তাহলে আমরা কেমনে চলব। বেতনের উপর নির্ভর করেই আমাদের চলতে হয়।
তারা বলে সময়মত বেতন না দেওয়ার কারণে অভাব অনটন যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
এই বেতনের উপর নির্ভর করেই তাদের খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা, কাপড় চোপড়, ঔষধ পাতি,বাসা ভাড়া, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ইত্যাদি ইত্যাদি চালাতে হয়।
শ্রমিকরা বলে বেতনের ব্যপারে সেকসনের বস, ম্যানেজার স্যার, এবং জিএম স্যারের কাছে গেলে বলে বেতন আজ হবে কাল হবে এভাবে বলতে থাকত। নির্দিষ্ট কোন তারিখ দিত না। নির্দিষ্ট তারিখ বলেলেও ঐ তারিখের আশায় থেকে ও কোন লাভ হত না।
এমনকি এই টাকার জন্য অনেকের দাম্পত্য জীবনে অনেক অশান্তি বিরাজ করছিল এমনকি অনেক সংসার নষ্ট ও হয়ে গেছে এবং অনেকে অভাব অনটনে চিন্তায় ব্রেন স্ট্রোক করে মারা পর্যন্ত গেছে।
আর ওনারা বলত আমাদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ এইচ আসলাম সানী স্যার টাকা না দিলে আমরা কোথা থেকে দিব এটাই তাদের মূল ভাষ্য ছিল।
এই বেতন আদায়ের লক্ষ্যে একাধিকবার আন্দোলন পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছিল তবু কোন সমাধান হয়নি। এমনকি শ্রমিক ফেডারেশনের নিকট অভিযোগ ও করা হয়েছিল।
শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এফ, এম আবু সাঈদ এবং শ্রমিক ফেডারেশনের এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল স্যার তারাও বেতন আদায়ের লক্ষ্যে একাধিকবার আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে ওনারাও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। এডভোকেট মাহবুবুর ইসমাইল স্যার বলেন এ এইচ আসলাম সানী সাহেব একজন বিষফোঁড়া।
পরবর্তীতে যখন কোনক্রমেই ন্যায্য পাওনা আদায়ের কোন ব্যবস্থা হচ্ছিল না তখন পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ প্রদান করা হয়।
প্রশাসনের মাধ্যমে ন্যায্য বেতন আদায়ের সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কিছু টাকা শ্রমিকরা পায় ,আর বাকি টাকা পাঁচ থেকে সাত মাসের না দিয়েই শ্রমীকদের ছাঁটাই বাছাই, এবং ফোন করে না করে দেয় পরবর্তীতে ফ্যাক্টরি লে অফ এবং বন্ধ ঘোষণা করে।
পরিশেষে,সকল নিরীহ সাবেক শ্রমীকদের পিঠের ঘাম ঝরানো কষ্টের টাকা আদায়ের লক্ষ্যে সুবিচার নিশ্চিত করে সকল শ্রমীক মহান আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মনের তীব্র দুঃখ কষ্ট জ্বালা যন্ত্রণা পেশ করে।