হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৮বছর বয়সী শিশু তামিম নিখোঁজের ৯ঘন্টা পর পুকুরে মিললো ম,রদে,হ।।
শাব্বীর আহমদ শিবলী
বিশেষ প্রতিবেদক হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৮বছর বয়সী শিশু তামিম নিখোঁজের ৯ঘন্টা পর তার বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন তার পরিবারের লোকজন।
নিহত শিশু তামিম(৮)মিয়া উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মাতাপুর (পঁচার ভাগ) মহল্লার মিশুক চালক মামুন মিয়ার পুত্র।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানাযায়,১০আগষ্ট
(রবিবার)দুপুরের দিকে প্রতিদিনের ন্যায় ঘর থেকে বের হয় তামিম।
কিন্তু এলাকার তার সাথে খেলার সাথীরা বেলা ২টার দিকে তামীমকে দেখেছেন বলে জানান।
এদিকে নিহত তামিম এর পিতা মামুন প্রতিদিনের ন্যায় মিশুক গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যান।
এদিকে তার মাতা আকিরুন লোন উঠাতে বেসরকারি এনজিও অফিসে চলে যান।
সারাদিন পিতা-মাতা বাড়িতে না থাকলে পরিবারে রয়েছে শুধু তামীম এর ছোট্ট ৩টি ভাই।
তাই তার সন্ধান কেউ তেমন একটা করতে পারেননি।
কিন্তু সন্ধ্যার পূর্ব পুত্র তামিমকে বাড়িতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে পিতা-মাতা আত্বীয় স্বজন তামীমের খুজে বের হন। আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি ঘরে খুঁজতে থাকেন। পরে একটি পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের লোকজন জানান,তামীম বিছনায় প্রসাব করে দিতো।
এজন্য তাকে গোসল করে আসার জন্য বলেছিলো তার পরিবার।
তাই সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন এলাকার পুকুরে পরিবার লোকজন ও আত্বীয় স্বজনগন জাল দিয়ে তামিমকে খুঁজাখুঁজি করেন।
এমনকি তামীমের সন্ধান চেয়ে বানিয়াচং উপজেলা সদরের সব-কটি বাজার ও পাড়া মহল্লায় মাইকিং করানো হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পাশে মাতাপুর মহল্লার মসজিদের পুকুর থেকে দীর্ঘ ৯ ঘন্টা নিখোঁজের পর মরদেহটি পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেন।
তবে তামিমের মরদেহটি পুকুর থেকে উদ্ধার করলেও তার পেটের মধ্যে তেমন কোন পানি নেই বলে জানিয়েছেন প্রতক্ষদর্শীগন।
সর্বশেষ ১১আগষ্ট(সোমবার)রাত সোয়া ১টার দিকে থানা পুলিশ যাওয়ার খবর পাওয়া যায় নাই।
এমনটা নিশ্চিত করেন নিহত তামিমের নানা কনু মিয়া।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)
গোলাম মোস্তাফার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,এই ঘটনার খবর থানায় আসেনি।
খুঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১আগষ্ট রোজ সোমবার ২০২৫খ্রি