বিএনপির রাজনীতিবিদ ড.এম এ কাইয়ুমের বিরুদ্ধে গভীর ষড়োযন্ত্র
মোঃ সোহেল রানা
জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুম কিছু দিন আগে বলেছেন, “আওয়ামী লীগ চেষ্টা করেছে এদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিতে।এ দেশের জনগণ সচেতন আছে বিদায়, তা আর সম্ভব হয়নি।
বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, “স্বৈরাচার বা স্বৈরাচারের দোসর সে যেই হোক। এমন কী আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব। যারা এখন বিভিন্ন অফার দেবেন বিএনপিতে আসার জন্য। তাদের কাছে বিক্রি হবেন না। স্বৈরাচারের দোসরদের পক্ষে যাবেন না। তাদের সংগঠনে এবং আপনার পাশে জায়গা দিবেন না। দুর্দিনে যারা ছিল না, এ সময় তাদের দরকার নেই। আমরা সাধারণ মানুষদের পাশে থাকতে চাই। এতে সংগঠন আরো শক্তিশালী হবে বলে আশা করেছেন।
আলহাজ এম এ কাইয়ুম বলেন, “আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণকে সাথে নিয়ে, তাদের পাশে থেকে, তাদের ভোটের মাধ্যমেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে।”
এম এ কাইয়ুম বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আগামীতে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো এবং জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবো।”
পরে এক পর্যায়ে জানা যায়,গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় দৈনিক মানবকণ্ঠে এম এ কাইয়ুম এর বিরুদ্ধে কিছু দুঃকৃতি চক্র অপপ্রচার করে তাকে বিভিন্ন ভাবে সমাজের কাছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।
দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকায় প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়,স্বদেশ প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম এ কাইয়ুমের নামে ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়। তাদের প্রকাশিত খবরের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এই খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ড. এম এ কাইয়ুম।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় স্বর্ণ চোরাচালান, প্লট জালিয়াতি, ঘুষবাণিজ্য, ইমিগ্রেশন বাণিজ্যের কথা। কিন্তু, এসব অভিযোগের সাথে ড. এম এ কাইয়ুমের ন্যূনতম কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রিশূল চক্রের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনে সেফ এক্সিট দেওয়া হয় আ.লীগ নেতাদেরকে এইসব বিত্তিহীন বলা যায়।
এধরনের মিথ্যা গোঁজামিল দেওয়া তথ্য উপস্থাপনা করা যায় তার স্বচিত্র প্রমাণ হচ্ছে এ প্রতিবেদন। কেন না, ড. এম এ কাইয়ুম ছাত্র জীবনেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাকে বুকে ধারণ করে বিএনপির রাজনীতি করেন। রাজপথে ত্যাগী ও পরীক্ষিত হওয়ায় দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন হন।
দলের পক্ষ থেকে কমিশনার মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এম এ কাইয়ুম। বর্তমানে তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়াও তিনি ঢাকা-১১ (বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা) আসনে ধানের শীষে প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়।
ড. এম এ কাইয়ুম জিয়া পরিবারের আস্থাভাজন হওয়ায় টার্গেট করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন তুঙ্গে নেন এম এ কাইয়ুম। তাকে দমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে অনেক ভাবে।
ড.এম এ কাইয়ুমকে গুলশানে বিদেশি নাগরিক হত্যাসহ অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। অবৈধ আওয়ামী সরকারের মিথ্যা মামলা-হামলা নির্যাতনের কারণে পরিবার পরিজন থেকে বছরের পর বছর নির্বাসিত জীবন-যাপন করেন।
দৈনিক মানবকণ্ঠের তথ্যের ভিত্তিতে এই নেতার মান ক্ষুন্ন করার সড়োযন্ত্র চালিয়ে কোনো লাভ হবে না। জনগণের ভালোবাসা ড.এম এ কাইয়ুম এর সাথে আছে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে এম এ কাইয়ুমকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বে-খেয়ালি গল্প লেখে।এতে আবারো প্রমাণিত হয়।হলুদ সাংবাদিকতার আঁতুড়ঘর জাতীয় দৈনিক মানবকণ্ঠের এই প্রতিবেদক।