মোঃ মিজানুর রহমান
দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যুর প্রতিবাদ, নিরাপদ সড়ক ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সুনামগঞ্জ- সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এর আগে মহাসড়ক আধাঘণ্টা অবরোধ করে ঘটনার প্রতিবাদ জানায় তারা। এসময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সড়ক দুঘর্টনাকে রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড দাবি করে অনতিবিলম্বে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি করে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে ফিটনেস বিহীন গাড়ি, লাইসেন্স বিহীন গাড়ি চেক করেন। পরে প্রায় আধাঘন্টা অবরোধের পর পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে তারা অবরোধ থেকে সরে আসেন। এরিপোর্টে লেখার সময় ওই দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করছিলেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ঘটনার ইতিমধ্যে ২৪ঘন্টা পার হয়ে গেছে, এখনও ঘাতক বাস চালককে আটক করেনি প্রশাসন। এসময় শিক্ষার্থীরা ১২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আমাদের বোন মারা গিয়ে এখন কবরে অথচ প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে তারা করছে টা কি? আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই যদি প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করে, আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।
শিক্ষার্থী তাকবিল হোসেন বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করি, তারা যেনো তাৎক্ষণিকভাবে আমাদেরকে নিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ফিটনেসবিহীন পরিবহনকে আটক করে মামলা দেয়। কিন্তু পুলিশ দাড়িয়ে দাড়িয়ে তামশা দেখছে। কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর আমরা বাধ্য হয়ে নিজেরা এই সড়কের বাসগুলোর ফিটনেস ও লাইসেন্স দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু ১০ বাসের মধ্যে ১০টা বাসেরই কাগজপত্র ঠিকঠাক ছিল না। এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সড়ক নিরাপদের দাবি জানাই।