জাকারিয়া রানা,জেলা প্রতিনিধি
দুমকি থানার পুলিশ অভিযানে ৬৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে এবং এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
গত ৮ আগস্ট রাত অনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকায় দুমকি পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় স্থাপিত চেকপোস্টে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় পুলিশ চেকপোস্টে কর্তব্যরত ছিলেন এসআই নুরুজ্জামান এবং এএসআই দুলাল সহ সঙ্গীয় ফোর্স।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযানে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়। তার পিতার নাম খুকু হাওলাদার ওরফে মনির এবং বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সুগন্ধা লাইট হাউস এলাকায়। বর্তমানে তার ঠিকানা পটুয়াখালীর পিয়ারপুর মৌকরন এলাকায়।
অভিযুক্ত জিয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দুমকি থানায় ৯ আগস্ট রুজু করা হয়েছে, যার মামলা নম্বর ৩। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের এই সফল অভিযানকে স্থানীয় জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছে। মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে পুলিশের এমন পদক্ষেপ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তারা বলেন, মাদক সমাজের একটি বড় সমস্যা, যা যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়া জরুরি।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক নিয়ন্ত্রণে যে ভূমিকা নিচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। তবে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে ও মাদক প্রবাহ ঠেকাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মাদক নিয়ন্ত্রণে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবার পর্যায়ে শিক্ষার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন তারা।
এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রসাশনও সতর্ক রয়েছে এবং মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। তারা জানিয়েছে, মাদক চক্রের মূল হোতাদের শনাক্ত করতে এবং মাদক চক্রের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত হানতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা বিশ্বাস করেন, প্রশাসন ও জনগনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদকমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব।
এই অভিযান স্থানীয় জনগণের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তাদের আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়েছে।