মেহেদী হাসান রাসেল
সাম্প্রতিক সময়ে এক নতুন আতঙ্কের নাম অনলাইন জুয়া। আর সেই সংক্রামক ব্যাধিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত আমাদের তরুণ সমাজ।
আজকের তরুণ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। প্রতিটি তরুণ এক একটি সম্ভাবনার গল্প। সেই সম্ভাবনা ধ্বংস হচ্ছে এই নতুন ব্যাধি অনলাইন জুয়াতে। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের ফলশ্রুতিতে অনলাইন জুয়াতেই মানুষ বেশি অংশ নিচ্ছে।
আমাদের দেশে জুয়া নিষিদ্ধ এবং ঘৃণিত অপরাধ হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন জোয়ার প্রচারণা চলছে নির্বিচারে। বিজ্ঞাপনে দেখানো হচ্ছে বিনিয়োগ ছাড়াই খুব সহজে হয়ে যেতে পারবেন কোটিপতি।কোতূহল থেকে লোভে পরে তরুণ সমাজ আকৃষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন জোয়ার সাইটে।
অসংখ্য অনলাইন জুয়ার প্লাটফর্ম এখন তরুণদের হাতের মাঝে। একবার কপাল লেগে যাওয়ার লোভে পরে খোয়াচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবার,আক্রান্ত হচ্ছে গোটা সমাজ।
শুধু অর্থ হারানো নয়, হারিয়ে ফেলছেন তারা মানসিক ভারসম্য। হয়ে উঠে জুয়াড়ি; তাদের দিন নেই,রাত নেই শুধু এক অস্থিরতা টাকা পুষিয়ে নেয়ার। এভাবে হারিয়ে ফেলে তারা আত্মবিশ্বাস মরে যায় পড়াশোনার আগ্রহ, দূরত্ব বেছে নেয় পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব থেকে।
যখন অর্থ শুন্যতা দেখা দেয় তখন তারা অর্থের জোগান দিতে বেছে নেয় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির।
অনলাইন জুয়া থেকে মুক্তির উপায় সচেতনতা ও সাহস। তাদেরকে বুঝাতে হবে জুয়া সাময়িক আনন্দ দিলেও, তা রুপ নেয় দীর্ঘস্থায়ী শুন্যতায়। আমাদের দরকার আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সময়ের যথাযথ ব্যবহার।এখনি পরিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামাজিক সংগঠন গুলির এগিয়ে আসা উচিত। তরুণদের বেছে নিতে হবে সেই পথ যেখানে কোন আসক্তি নেই ,আছে আত্মমর্যাদা।