জনসেবায় আত্মনিবেদিত দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতীক-ডা. মোঃ শফিকুর রহমান
এম,এ,মান্নান,স্টাফ রিপোর্টার,নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
বর্তমান সময়ে রাজনীতি, রাষ্ট্রচিন্তা ও জনসেবার ক্ষেত্রে আদর্শবান নেতৃত্ব বিরল হয়ে উঠেছে। একদিকে যখন নেতাদের একটি বড় অংশ সামান্য রোগ-ব্যাধি হলেই উন্নত চিকিৎসার অজুহাতে বিদেশে ছুটে যান, তখন অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমীর, জনাব ডা. মোঃ শফিকুর রহমান দেশের ডাক্তার ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে, মহান আল্লাহর ওপর নির্ভর করে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সফল হার্ট সার্জারি করিয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই ঘটনা তাঁর দেশপ্রেম, জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও ঈমানি আত্মবিশ্বাসের এক অসাধারণ নিদর্শন হয়ে উঠেছে।বর্তমানে দেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়—সাধারণ জ্বর থেকে শুরু করে মাঝারি মানের যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলেই তারা ইউরোপ, আমেরিকা বা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশগুলোর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চলে যান। এতে করে শুধু রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হয় না, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাও কমে যায়। কিন্তু ডা. শফিকুর রহমান সম্পূর্ণ ভিন্ন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। তিনি প্রমাণ করলেন যে, দেশের ডাক্তারদের দক্ষতা রয়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থাও যথেষ্ট উন্নত, এবং প্রয়োজন শুধু আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের।শুধু চিকিৎসা নয়, তাঁর এই পদক্ষেপের পেছনে ছিল এক গভীর ঈমানি দৃষ্টিভঙ্গি। যখন তাঁর মেয়ে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন, তখন তিনি সাদাসিধে ভাষায় বলেন—”আমার তো হয়তো সামর্থ্য আছে, কিন্তু দেশের প্রতিটি মানুষের কি সেই সামর্থ্য আছে?” এই কথাটির মধ্যে লুকিয়ে আছে গভীর মমত্ববোধ, সাধারণ মানুষের প্রতি মায়া এবং একজন আদর্শ নেতার সামাজিক দায়বদ্ধতা। এটা শুধু একজন পিতা বা রোগীর কথা নয়, এটা একজন দায়িত্বশীল নেতার হৃদয় থেকে উঠে আসা বিবেকের বাণী।একজন আদর্শ নেতার আসল পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর কাজ ও মনোভাব থেকে। ডা. শফিকুর রহমানের দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত কেবল একটি ব্যক্তিগত বা চিকিৎসাজনিত বিষয় নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা—জনগণের সঙ্গে তিনি একাত্ম, তিনি দেশের মানুষকে ভালোবাসেন এবং সেই ভালোবাসা শুধু কথায় নয়, কাজে প্রমাণিত।তাঁর এই সিদ্ধান্ত দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য এক ধরনের অনুপ্রেরণা। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, এই দেশেই অনেক কিছু সম্ভব, এই দেশেই উন্নত চিকিৎসা করা যায়, যদি আমরা আস্থা রাখি, বিশ্বাস রাখি।বর্তমান প্রজন্ম যখন নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে, তখন ডা. শফিকুর রহমানের মতো নেতার জীবনচর্চা, কর্মপদ্ধতি ও চিন্তাধারা একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাঁর মতো ব্যক্তি শুধু একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নন, বরং একজন চিন্তাশীল পথপ্রদর্শক, যিনি শুধু নিজের দলের নয়—সমগ্র জাতির জন্য আশার আলো।জামায়াত আমীর ডা. মোঃ শফিকুর রহমানের এই পদক্ষেপ তাঁর দেশপ্রেম, আত্মবিশ্বাস এবং আল্লাহর ওপর নির্ভরতার পরিচায়ক। যখন দেশের বড় অংশের নেতৃত্ব সুবিধাবাদী মনোভাব পোষণ করে, তখন তিনি হয়ে উঠেছেন সততা, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধের প্রতীক। একজন প্রকৃত নেতার যেমন হওয়া উচিত, তিনি ঠিক তেমনটাই—নিরহঙ্কার, সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টে অংশগ্রহণকারী এবং দেশকে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।এই রকম নেতাই জাতির প্রকৃত সম্পদ। তাঁর আদর্শ ও সিদ্ধান্ত আগামী দিনের নেতৃত্ব ও জনগণের মধ্যে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ তৈরি করবে বলে আশা করা যায়।