কোটিপতি কাজীর বি,রু,দ্ধে নারী কেলেংকারীর অ,ভিযো,গ
রিপন সরকার বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের কাজী হেলাল উদ্দিনের
বিরুদ্ধে পরকীয়াসহ নারী কেলেংকারির হাতে নাতে ধরা পড়ার ভিডিওসহ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহু বাল্যবিবাহ রেজিষ্ট্রেশন করার কারিগর ও কোটিপতি কাজী হেলাল কাজী গত ২৫ জুন গভীর রাতে সোনারামপুর ইউনিয়নের চরমরিচাকান্দির গ্রামের বিলপাড় মহল্লার ট্রাক চালক সুলতান মিয়ার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজ করতে গেলে এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে,এলাকাবাসী তাকে উত্তম মাধ্যম দেয়। কাজী হেলাল কতিপয় যুবককে ম্যানেজ করে সেখান থেকে পালিয়ে চলে আসতে সক্ষম হয় বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান। বিষয়টি এতোদিন গোপন থাকলেও আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ হয়ে পড়ে।
আফজাল মিয়া নামে এক এলাকাবাসী জানান, ২ বছর আগে এই মহিলার সাথে অনৈতিক কাজ করার সময় একই কায়দায় ধরা পড়ার পর, ম্যানেজ করে উদ্ধার হন। অথচ,কাজী হেলাল উদ্দিন ৪ টি বিয়ে করেছেন।
এবিষয়ে চরমরিচাকান্দি গ্রামের মহিলা ওয়ার্ড মেম্বার হনুফা বেগম বলেন, কাজী হেলাল একজন দুশ্চরিত্র কাজী। তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার।
স্থানীয় আরেক ওয়ার্ড মেম্বার জামাল মেম্বার বলেন, “তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে নিকাহ রেজিস্ট্রার পদ বাতিল করা দরকার।”
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক আওয়ামী লীগের এমপি ক্যা.তাজের ভাগিনা জনি চেয়ারম্যানকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পায়।
গত ৫ আগষ্টের পর তিনি নিজেকে বিএনপি ঘরানার কাজী হিসেবে দাবী করে নানান অনিয়ম, দূর্নীতি ও নারীঘটিত কেলেঙ্কারি করতে থাকেন।এনিয়ে একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও জেলা রেজিস্ট্রার অদৃশ্য কারনে কোন ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকেন।
উল্লেখ্য, বিবাহের নামে নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজি) বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ নিবন্ধনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত দাবী করে আসছে এলাকাবাসী।
সোনারামপুর ইউনিয়নের দুই যুবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, আমরা কাবিননামা তুলতে চাইলে একজনের কাছ থেকে ১১ হাজার ও অন্যজনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাবী করেন কাজী হেলাল উদ্দিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী বাল্য বিবাহের স্বীকার হন সোনারামপুর ইউনিয়নের মেয়েরা। তারপর রয়েছে, উজানচর ও ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন।
জানা গেছে,পার্শ্ববর্তী নরসিংদী ও সোনারামপুরে তার বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে বিপুল পরিমান ব্যাংক ব্যালেন্স।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, হেলাল কাজীর বিষয়টিকে আমরা শক্তিশালী তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবো। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্ট্রার কে জানানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেজিস্ট্রার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ মুঠোফোনে আজ (৪ আগষ্ট) বলেন, বিষয়টি জানলাম। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ আমলে “নিকাহ নামা ও কোটিপতি কাজী”র নামে নানা অনিয়ম করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া হেলাল কাজীর বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও উপর মহল সামাল দিতে তিনি, ‘ম্যানেজ মাষ্টার’ হিসেবে সিদ্ধ বলে অভিযোগ রয়েছে।
০১৭১৪২১৯৮৭৫
৪ আগষ্ট /২০২৫