৪৬, নওগাঁ-১ আসনে জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মনোনয়নে অনেক এগিয়ে
এম,এ,মান্নান,স্টাফ রিপোর্টার,নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায়, যিনি পরবর্তী পাঁচ বছর জনগণের কথা সংসদে তুলে ধরবেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন এবং এলাকার সার্বিক কল্যাণে কাজ করবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উৎসাহ, আগ্রহ ও জোর প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে, নওগাঁ জেলার ৪৬ নম্বর নওগাঁ-১ আসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি নিজ দল ও জনসাধারণের মাঝে যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, তা তাকে মনোনয়নপ্রাপ্তিতে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে।জনাব মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। তিনি শুধু রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, একজন সেবক হিসেবেই এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে, তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়ে তিনি অর্জন করেছেন জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা। এলাকার শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও যুব উন্নয়নে তার নিরবিচারে শ্রম ও পরিকল্পনার কারণে তিনি আজ একটি পরিচ্ছন্ন ও শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।নিজ দলের অভ্যন্তরে তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নেতৃত্বদানে সক্ষম রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকটেও তার অবস্থান দৃঢ়। মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক এবং দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক দক্ষতা তাকে মনোনয়ন দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। দলীয় নীতিমালা, আদর্শ এবং জনগণের প্রত্যাশার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে তিনি দলকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট।নওগাঁ-১ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জনসাধারণের মুখে জনাব মোস্তাফিজুর রহমানের প্রশংসা। তরুণ সমাজ, কৃষক, নারী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণির মানুষ তাকে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। তার সততা, নির্ভরযোগ্যতা এবং উন্নয়নমূলক চিন্তাধারা সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে।জনাব মোস্তাফিজুর রহমান ইতিমধ্যেই তার নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি সুপরিকল্পিত রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সময়োপযোগী নেতৃত্ব, উন্নয়নকেন্দ্রিক রাজনীতি এবং সকল শ্রেণির মানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করলেই একটি আধুনিক ও উন্নত নওগাঁ গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি কৃষকবান্ধব, শিক্ষাবান্ধব, স্বাস্থ্যসচেতন ও প্রযুক্তিনির্ভর একটি সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।সব দিক বিবেচনায়, ৪৬, নওগাঁ-১ আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মনোনয়নপ্রাপ্তির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলাই যায়। তার প্রতি জনগণের আস্থা, দলের নেতৃত্বের সমর্থন এবং তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাকে একটি শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে গড়ে তুলেছে। এখন সময় বলবে, দলীয় মনোনয়নের চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে। তবে এলাকাবাসীর আশা, তাদের প্রিয় প্রার্থীই আগামী দিনের নেতৃত্বে আসবেন এবং উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন।”নেতা নয়, একজন সেবক”—এই আদর্শে বিশ্বাসী জনাব মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য রইল শুভকামনা।বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক অনাকাঙ্ক্ষিত অধ্যায় হিসেবে অনেকেই উল্লেখ করেন ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে। এই নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী আচরণ, ভোটাধিকার হরণ এবং বিরোধী দলকে দমন করার এক নির্মম বাস্তবতার সাক্ষী হয়েছিল দেশের মানুষ। সে সময়ের বিএনপির প্রার্থী, জননন্দিত নেতা জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ-১ (৪৬) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে জনগণের অভূতপূর্ব সমর্থন ও ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন। তৃণমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের জনগণ ভোট দিয়েছিলেন পরিবর্তনের পক্ষে। মাঠপর্যায়ের সকল জরিপ, গণজোয়ার এবং সর্বসাধারণের প্রতিক্রিয়া ছিল তার পক্ষে। কিন্তু সেদিনের নির্বাচন ছিল সাধারণের কণ্ঠরোধের এক নিষ্ঠুর উদাহরণ।জনাব মোস্তাফিজুর রহমান বিজয়ী হয়েছিলেন ভোটারদের ভোটে, হৃদয়ের ভালোবাসায়। কিন্তু সেদিন রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার, প্রশাসনের নির্লজ্জ পক্ষপাত এবং কারচুপির ষড়যন্ত্রে তাকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। অনেক কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণের আগেই ব্যালট বাক্স পূর্ণ, বিরোধী এজেন্ট বের করে দেওয়া, ফলাফল জালিয়াতি—এসব ঘটনা জনসাধারণের চোখে ধরা পড়ে, কিন্তু তাদের প্রতিবাদ করার মতো পরিবেশ ছিল না। তাই প্রকৃত বিজয়ী হয়েও তাকে ফলাফলে পরাজিত দেখানো হয়।দুর্ঘটিত সেই নির্বাচনেও জনাব মোস্তাফিজুর রহমান গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে রয়ে গেছেন। তিনি পরাজিত হননি, বরং প্রমাণ করেছিলেন—বিএনপির নেতৃত্বে সত্যিকারের জনপ্রিয়তা আজও জনগণের হৃদয়ে বেঁচে আছে। তিনি কখনও হাল ছাড়েননি, জনগণের পাশে থেকেছেন, আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছেন।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনাব মোস্তাফিজুর রহমান যদি আবারও বিএনপি থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান, তবে নওগাঁ-১ আসনে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ২০১৮ সালের জ্বালা এখনো ভোটারদের হৃদয়ে ক্ষোভ হিসেবে বিরাজমান। সেদিন যারা ভোট দিতে পারেননি, আজ তারা আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ—তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং প্রকৃত প্রতিনিধিকেই সংসদে পাঠাবেন।ধানের শীষ শুধু একটি প্রতীক নয়, এটি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীক। জনাব মোস্তাফিজুর রহমান সেই প্রতীকের একজন পরীক্ষিত যোদ্ধা। তার ব্যক্তিত্ব, সুনাম, মাঠপর্যায়ে জনপ্রিয়তা এবং ত্যাগ আজও জনগণের মাঝে অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।নওগাঁ-১ আসনের জনগণ এখনো স্মরণ করে সেই রাত্রি, যেখানে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় বদলেছে, মানুষ এখন আরও সচেতন, আরও সাহসী। যদি জনাব মোস্তাফিজুর রহমান আবারও প্রার্থী হন, তবে তারা প্রমাণ করবেন—ধানের শীষই হলো বিজয়ের প্রতীক। অন্যায় ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তারা এবার ভোট দেবেন স্বাধীনতার পক্ষের, গণতন্ত্রের পক্ষে, মানুষের প্রতিনিধির পক্ষে।সেই প্রতিনিধি হচ্ছেন জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান—যিনি কখনো হারেননি, শুধু অপেক্ষা করছেন সঠিক সময়ের। ইনশাআল্লাহ, সেই সময় আসছে।