রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নবঘোষিত ভারত ও বাংলাদেশের মায়া বন্দর : পর্যবেক্ষণে আসেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন
মোঃ জালাল হোসেন গোদাগাড়ী রাজশাহী :-
সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলাপ করে যেটা ভাল হবে সেটাই হবে।বন্দর যদি করা যায় তাহলে করা হবে। চেষ্টা করা হবে। একদিনে তো আর হবে না। কারণ রাস্তা ঘাট উন্নতি করতে হবে। সেটা কে করবে। বন্দরটা না হয় বিআইডব্লিউটি করল।
এখানে কাস্টমস বুথ আছে। তারা কি কাজ করবে। এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলাপ করতে হবে। এখানে বসে আমি সিদ্ধান্ত দেব তা তো হবে না। কারণ এ ধরনের একটা ডিসিশন নিতে হলে সবপক্ষের সাথে আলাপ করতে হবে। আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলতে পারব না। কারণ এর অনেকগুলো ট্রেডিশন আছে। রাস্তা কে বানাবে, এখানে পোর্ট অথরিটি কি করবে, কাস্টমস অথোরিটি কি করবে, এগুলো নিয়ে কথা বলতে হবে। তবে আমি আপনাদেরকে কথা দিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের পক্ষে আমি কাজ করি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে যা করা দরকার তাই করার চেষ্টা করছি। আমার এই ক্যাপাসিটিতে আমি প্রথম রাজশাহী এসেছি। আমি জানি রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত সহযোগী এবং শান্তিপ্রিয়, উন্নয়নমুখী আমি যতটুকু দেখেছি।আমি ১৬ বছর পরে রাজশাহীতে এসেছি। আমি এটুকু কথা দিয়ে যাই আমি খুব পজিটিভ মানুষ। বিষয়টি পজিটিভলি দেখব তবে যেহেতু এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার, তাই এগুলো রাস্তাঘাটে হয় না। তবে ছোট ছোট ডিসিশন হতে পারে যে, আচ্ছা ঠিক আছে এখানে রাস্তা তৈরি হবে এখানে বুথ তৈরি হবে।এখানে অনেকগুলো পার্টিই জড়িত। কাস্টমস জড়িত, নৌ বন্দর জড়িত, স্থল বন্দর জড়িত। সুতরাং। সুতরাং এটা একটা ডিসিশন হবে। তবে ডিসিশনটা আপনাদের পক্ষে যাতে হয় এটা আমি চেষ্টা করব। আপনাদের অনেক আগ্রহ আছে বোঝা যাচ্ছে। কারণ এ জায়গাতে পোর্ট হলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরেকটু ত্বরান্বিত হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন নবঘোষিত সুলতানগঞ্জ নদী বন্দর এবং পোর্ট অব কল সরেজমিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১ আগস্ট ( শুক্রবার) সকাল ০৯:৪৫ মিনিটে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নবঘোষিত সুলতানগঞ্জ নদী বন্দর এবং পোর্ট অব কল সরেজমিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে এসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন,নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ)ড. এম সাখাওয়াত হোসেন,বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী জনাব মোঃ খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক রাজশাহী জনাব আফিয়া আক্তার, পুলিশ সুপার রাজশাহী জনাব ফারজানা ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ৫৩ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আসরারুল হক, সদস্য, (কাস্টমস নিরীক্ষা আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঢাকার মোঃ আল আমিন প্রামানিক, (জি) এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, বিএন, চেয়ারম্যান
বিআইডব্লিউটিএ কমডোর আরিফ আহমে মোস্তফা, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মানজারুল মান্নান,
কাস্টমস কমিশনার রাজশাহী জনাব মোঃ ফাইজুর রহমান,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সভাপতি জনাব আব্দুল ওয়াহেদ,
রাজশাহী চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সভাপতি জনাব মাসুদুর রহমান রিঙ্কু, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ফয়সাল আহমেদ প্রমূখ।
উল্লেখ, বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ প্রটোকলের আওতায় চালু হয় বহুল কাঙ্খিত রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল এবং সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল। পদ্মা ও মহানন্দার মোহনায় অবস্থিত গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ অংশ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ২০২৪ সালে সকাল ১১ টায় সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর এবং ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।