পটুয়াখালী জেলা একদিনে চার জনের ম,র,দেহ উ,দ্ধা,র
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মোঃ রুবেল হোসাইন
পটুয়াখালী জেলায় একদিনে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) জেলার কুয়াকাটা, দুমকি ও বাউফল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এদিন দুপুরে বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুরে ডুবে মারা যায় মো. রাফসান (৭) নামের এক শিশু। ঢাকায় কর্মরত বাবা-মায়ের সন্তান রাফসান নানা বাড়িতে থাকত। বাড়ির উঠানে খেলার সময় সবার অগোচরে সে নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে কালাইয়া শাহেদা গফুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ হাওলাদার বলেন, রাফসান খুবই শান্ত স্বভাবের ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।
কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে নজরুল ইসলাম (৬০) নামের এক জেলের মরদেহ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের মিরা পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহতের ছেলে মরদেহটি শনাক্ত করেন। একই সময়ে গঙ্গামতি পয়েন্ট থেকে আরও একটি অজ্ঞাত ব্যক্তির (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সৈকতের দুটি ভিন্ন স্থান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটির পরিচয় পাওয়া গেছে, অপরটির পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। মরদেহ দুটি মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে জেলার দুমকি উপজেলার চরবয়েড়া গ্রামে মুক্তা আক্তার (২৫) নামের দুই সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় দুমকি উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ভাই মাসুম হোসেন অভিযোগ করেন, যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার বোনকে নির্যাতন করা হতো, সেই নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে শ্বশুরবাড়ির দাবি, মুক্তা স্ট্রোকে মারা গেছে। দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
অন্যদিকে, একই দিনে জেলার বাউফলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন সরোয়ার হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি। নিহত সালমা আক্তার (৩২) বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। সরোয়ার হোসেন স্ত্রীকে পরকীয়ার সন্দেহে গলা কেটে হত্যা করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ঘটনার পর চার বছরের সন্তানকে নিয়ে ভোরে বাউফল থানায় এসে খুনের দায় স্বীকার করেন তিনি। বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, স্বামী সরোয়ার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে সন্দেহ করে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা জব্দ করা হয়েছে। শিশুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।