1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন

১৬ বছর বয়সে শিক্ষক, ১২ বছর বয়সে বাবা! শ্রীবরদীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বি,রু,দ্ধে বিস্ময়কর অ,ভি,যোগ

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

📰 ১৬ বছর বয়সে শিক্ষক, ১২ বছর বয়সে বাবা! শ্রীবরদীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বি,রু,দ্ধে বিস্ময়কর অ,ভি,যোগ

রব্বানী বাপ্পি
স্টাফ রিপোর্টার

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার উত্তর ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হেবুল মিয়ার বিরুদ্ধে জন্মসনদ জালিয়াতি, অস্বাভাবিক বয়সে শিক্ষকতায় যোগদান এবং পিতৃত্বের তথ্য নিয়ে গুরুতর অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্র ও নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, হেবুল মিয়া ১৯৭৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। অথচ তিনি ১৯৮৯ সালে, মাত্র ১৬ বছর বয়সে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। যেখানে সরকারি নীতিমালায় ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর নির্ধারিত, সেখানে এটি স্পষ্ট নিয়ম লঙ্ঘন।

আরও চমকপ্রদ তথ্য হলো, হেবুল মিয়ার ছেলে রিপন মিয়ার জন্ম সাল ১৯৮৬। অর্থাৎ, উক্ত তথ্য অনুযায়ী হেবুল মিয়া বাবা হয়েছেন মাত্র ১২ বছর বয়সে, যা মানব জীবনের স্বাভাবিক ধারার সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত না থেকে জামালপুর শহরে তার মেয়ের বাসায় অবস্থান করছেন। স্থানীয়দের দাবি, বাড়ির পাশেই বিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রভাব খাটিয়ে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ দিলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি।

উল্লেখযোগ্য যে, হেবুল মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া বর্তমানে সাবেক ক্ষমতাচ্যুত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর ০৬ নং ওয়ার্ড তাতিহাটি ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে স্থানীয়দের মতে, তিনি এই রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাব কাজে লাগিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এবং কোনো জবাবদিহিতা মানছেন না।

শ্রীবরদী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হেবুল মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থতার অজুহাত দেন এবং কথা না বলে তার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও অভিযোগের সত্যতা আংশিক স্বীকার করেন এবং আইনগত দিক ব্যাখ্যা করতে থাকেন। স্থানীয় অভিভাবক বলেন‘একজন শিক্ষক যদি এভাবে জালিয়াতি করে বছরের পর বছর চাকরি করেন, তাহলে নতুন প্রজন্মের কাছে শিক্ষার নৈতিকতা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়?’

এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে হেবুল মিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট